শতাব্দী প্রাচীন বৃক্ষ তুমি,
তোমার ছায়া দিয়ে যেতে যেতে
কেন বারবার কেঁপে উঠি জানি না...  
বয়ে গেছে সবুজ আভা অমূল্যে
তোমার শিরায় শিরায়,
তোমার সব কটি ডাল খালি;
তবুও ছায়া দিয়ে যায় আজও
তোমার শিরায় শিরায়
শিকারের নির্দোষ বেদনার চলাচল।
পুরনো অপরাধে শুনতে আমার দীর্ঘশ্বাস
রাতের অন্ধকারে কাঁদায় আমায়,
তোমার ফেলে আসা জাগ্রত শোক।


কেঁদে ওঠে বোকা মানুষ চূড়ান্ত হতাশায়!
নেমে আসে আকাশমুখী শপথের হাত
ধীর অবিচলিত পদক্ষেপে কারাগারের দরজায়,
নির্বোধ লোকেদের অভিশাপ যেখানে
ছুঁয়ে দিয়ে যায় নিজেদের শেষ ব্যাথা,
কেঁপে ওঠে বারবার শিরায় শিরায়...  
তা ত্রাণহীন দুঃখের আফশোস নয়;
উদাত্তকণ্ঠে বলে ওঠো তুমি  
কবর পর্যন্ত সে ঋণশোধ
তা শান্তির সুবাস ছড়ায়, মুক্তি এনে দেয়।


আমাদের মাঝে যে যন্ত্রণা স্রোত
বিদ্রোহের ডানা ঝাপ্টায় তোমার শূন্য ডালে,  
সে এক নীরব অনুভূতি তোমায় স্মরনকালে।
আর বোকা মানুষেরা শুধুই খুঁজে বেড়ায়
শূন্য ডালের ছায়ায় বৃক্ষচূড়া থেকে,  
কে এই রাত্রে রাত চালায়!
বট কিংবা অশ্বত্থে সে নাম নাই বা ফুটুক আজ,
শতাব্দী প্রাচীন বৃক্ষ তুমি শুধু বয়ে যাও শিরায় শিরায়...  
রক্তরঙে রাঙ্গাও আবার দেশের বসন,
ঘোড়ার ক্ষুরে উঠুক আবার আজাদ প্রলয়...  
সীমানা পেরিয়ে দাঁড়াও আবার হুঙ্কার দিয়ে,
দামামায় উঠুক বেজে "আমি সুভাষ বলছি" আবার।