পথের থেকে ধুলো নিয়ে অবহেলায় দাগ কেটেছি
আনমনে হয়ে গেছো তুমি,
রোদপোড়া সাগরের ঢেউয়ে তোমার অস্থির নিশ্বাস
হাঁপিয়ে তুলেছে আমায়,
আর তুমি স্থির হয়ে বয়ে চলে গেলে সমুদ্রসৈকতে।


নতুন উপভোগের খোঁজে,
পরিযায়ী পাখীদের অস্থিরতায়
ডানা ভরা অনিশ্চয়ে ভেসেছিলাম যখন...


দেখেছিলাম নীল জল, আকাশ,
কিছু মনখারাপ হয়ে জমে থাকা ফেনা
ছুঁড়ে ফেলা ঠোঙাতে -
কোনও পুরনো ভালবাসার গায়ে;
আর পাড়ে বাসাবাধা মানুষের আস্ফালন।


তারই মধ্যে তুমি
ফেলে আসা কথাগুলো ছুঁলে
কারও হাতে, আর কারও বুকে হয়ে গেলে লীন।


এ কঠিন সময় দিয়ে আমার চলে যাওয়া-
না বলা কথার ভীড়ে বলা কথাগুলো
একপেশে, পড়ে থাকে গোল সিঁড়িটার নীচে,
মেঘের ডাকের মতই গুমরে মরে গিয়েও
তারা জীবন্ত, গম্ভীর চেয়ে থাকে।


আর যখন
হাইওয়ে দিয়ে ফেরার পথে
তোমাকে ছুঁতে চাওয়ার জানালায় চাঁদ উঁকি দেয়, তখন -


রোদপোড়া বালুচর, আর
ফানুস ওড়া কালো ধোঁয়া মেঘে
মনে হয় সে চাঁদ তুমিও দেখছ -
রাত-হাল্কা কুয়াশা আকাশে,
হয়ত আমার চোখে নয়, অন্য কারও বুকে।


ঝিঁঝিঁরা পাশের ঝোপে ছায়া বেঁধে দিলো চাঁদে,
তারই সঙ্ক্রমণে আমার স্বপ্নগুলো
চূর্ণ হয়ে গেলো আর কারও বাহুডোরে।