জানো...
পায়ে পায়ে ঠোক্কর খেয়ে সোজা পথ বেঁকে গেছে অনেককাল আগেই।
একটা ভুলে যাওয়া কালো আলোর মত নরম পাথরগুলো
খোলা রহস্যের মতই অমীমাংসিত পথপ্রান্তে ...


তাই...
হয়নি পায়েস তোমার জন্মদিনে, গাছের ছায়ে বাজেনি গাঁয়ে ডি জে,
মাঠের মাঝে ম্যারাপ হয়নি বাঁধা, সঞ্চয়িতা তাকেই রয়ে গেছে।
ভুলিনি যেমন জোরা শাঁখের আওয়াজ আজন্ম আমি ভালোবাসার বরে...  
এখন তুমিই বলো কি করে যায় ভোলা, বহু মানুষও তো এবার গেলো মরে?
তোমারই শুধু একশো ঊনষাট রাঙিয়ে দিলো যাদের লক্ষ শোণিত
সিংহাসন থেকে মেঝেয় নেমেও ঠাকুর, তাদের তুমি রক্ষা করনি।


আর...
বৈশাখ নিয়ে কাঁধের ওপর নাচিনি এবার অত
সোমদেবের বেতাল পঞ্চবিংশতির মত,
রক্ত ধুতেই মনের মাঝে সময় গেলো এতো, যে
হাত ধুয়ে তোমায় ধরা আজ বিলাসিতার মত!
রাগ করোনা প্রাণের ঠাকুর একটি বছর মোটে
যদি পরের বছর তোমার বায়ু বিষিয়ে না ওঠে...


তবে
স্লোগান দেব "আসছে বছর আবার হবে" আকাশে হাত ছুঁড়ে...
ততদিন যদি তুমি ধৈর্য ধড়তে পারো মরার মত বেঁচে, আমার মত করে
তবে কালো আলোর নরম পাথরগুলো পাবে এগিয়ে যাবার ভাষা, আবার সহজ পথে।