যে চালায়, সে নিজেই যদি চলতে না জানে,
ধরো, পথের কথাই বলি যদি আমি...


পাহাড় থেকে নদীও তো নামে অঝোরধারে...
পথের মত চলতে বলে না তো!
দু' পাড়েতে বাসা বাঁধতে ডাকে।


একা শুয়ে থাকে পথ মিশকালো
সরীসৃপের মত, পিচ্ছিল সর্পিল দূর থেকে...
শুধু অবিরাম হেঁটে চলা তাতে শীতল, ঘিনঘিনে।


আদিও নেই, অন্তও নেই,
ঠিকানা যা কিছু তাও ক্ষণিকের, জুড়াতে প্রাণ
ঠাঁই নাই, তবু পথিকের এক পথ আছে।


সাগরের পানে চেয়ে নদী বয়না পাড়মুখে,
পথের পথিক পিছলিয়ে তবু ঠাঁই নেয় নদীবুকে।
তৃষ্ণা বলো, ক্লান্তি বলো মেটায় সবকিছু
গাছের ছায়ায়, নদীর হাওয়ায়, পাড়ের পিছুপিছু।


এ পাড় বসে সন্ধেবেলায় মানুষজনের সাথে
জলছবিতে ওপাড় পানে সূর্য ডুবতে দেখে,
নদীর জলে রাতের তারা জোনাকি হয়ে জ্বলে
সাগর পানে স্রোতের সাথে কুলকুলিয়ে চলে... ঘুম ভঙ্গাবার তরে।


তাই
পথের চাইতে নদীকেই আমি ভালোবাসি চিরতরে।