এখন,
একা আমি
চুপ করে দেখি
স্বর্গের প্রতিচ্ছবি;
অশান্ত সাগরের জলে!
জল গড়িয়ে পড়ে সৈকতে
ঢেউয়ের আঘাতে ঢেউ ভেঙে...
আর আমার নোনা ঘামের স্বাদ
বালির চড়ে চেটে নেয় নিশুতি রাত।  
দাপুটে হাওয়ায় দুলে ওঠে পেছনের ঝাউবন,
সমুদ্রের শব্দ খেলে বেড়ায় নিঃসীম...
রংচটা পাথুরে বোল্ডারে,
বিচ্ছিন্ন এ উপকূলে।


বিচ্ছিন্ন এ উপকূলে
আরও দূর দূরবর্তী যাত্রায়,
প্রাচ্যজলবায়ুতে আবদ্ধ সূর্যের
স্বচ্ছ স্বর্ণ রুবি রঙের সাথে মিশে যায়...
স্যাফায়ারের উজ্জ্বলতায় ইথারিয়াল ক্যানোপিতে।
পূর্ব তরঙ্গে তার উজ্জ্বল পোশাক স্নান করে,
আর যখন সে পশ্চিম দিকে ডুবে যায়...
সেখানে ঢেউয়ের ছাঁটে বিশ্রাম নেয়
আমার আর্তনাদ, অতিক্রম করে
জোয়ারে চাঁদের বহমানতাকে,  
জোরে চিৎকার করে
বালি চাষ করে।


বালি চাষ করে
আশ্রয় দেয় সন্ন্যাস...
হত্যাকারী এবং নিহতদের
অস্ত্রহাতে উর্বর উপসাগরের কোলে,
ব্যর্থ অথচ সাহসী এক গৌরবময় সংগ্রাম
বিজয়ীর নিরবচ্ছিন্ন প্রার্থনায় আরোহণ করে;
রক্তের জন্যে স্বর্গের ক্রোধ কোথায়?
তবুও মাঠে দ্যাখা যায় গোলাপ!


তবুও মাঠে দ্যাখা যায় গোলাপ...
সমুদ্রের শব্দ খেলে বেড়ায় নিঃসীম,
দাপুটে হাওয়ায় দুলে ওঠে পেছনের ঝাউবন;
বসন্ত ফিরে আসে বর্জ্যের যৌথ ভাড়াটের সাজে,
তারই বাসা থেকে জলাশয়ের মাঝে
সেখানে রত্ন সূর্য-শিশির জন্মায়,
স্পষ্ট আর্তনাদের থেকে...  
এ সব কিছুই চুপ করে
দেখছি আমি একা...
বিচ্ছিন্ন উপকূলে!