একা একা নিজেকে কল্পনা করো
দেখবে একটা রুপোর সুতোয় ঝুলছো তুমি,  
অকেজো,উপেক্ষিত, পীড়িত, ভুলে যাওয়া অনুভূতি সব...
আর সাথে একটা দানবীয় চিৎকার;
অসার অভ্যন্তরের আঘাতে ভাঙা আত্মবিশ্বাসের সে চিৎকার।
প্রতি রাতে আমি নিজেকে গাছের ছায়ার সাথে
রুপোর সুতোয় ঝুলতে দেখি...  
তোমার মত দরজা বন্ধ করে উপসাগরের পারে বসে থাকি একাকী।


দরজা খুলে সত্যিকারের আমাকে জানতে চায় না কেউ ...
ধরে নেয় তারা আপন বিলাসে মত্ত আমি;
তাই  সংবেদনহীন চোখের তারায়,
কেউ মুখোশ খুলে দ্যাখেও না।
চেষ্টাও করে না কেউ।


ছুটে চলেছি আমি বোবা নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে।
ব্যাথার আড়ালে দ্বন্দ্ব জিততে চায় যত্নশীল...  
ভাবছি কখন শোনা যাবে আমার কণ্ঠস্বর... স্বার্থপর,
অসারতার কাছে আত্মসমর্পণ এ অনুভব!
অপরাধী তাকে জীবিত চলেছে খেয়ে;
সে তার নিজেরই দানব,
অসার অভ্যন্তরের আঘাতে ভাঙা আত্মবিশ্বাসের
সে এক দানবীয় চিৎকার।


পাপের শীতল প্রবণতা সব সময় একা...  
ছায়াগুলো তার সারাংশ খেয়ে নিয়ে
অন্ধকারের বন্ধ্যাত্মে নীরব,
কখনও শেষ না হওয়া শীত থেকে তার মুক্তি
যেন দূরে সরে যাওয়া আলো থেকে... প্রতিশ্রুতি।


এমনি নির্জনে ঝুলে থাকে সে ছায়া
রুপোর সুতোয় মুখোশে ঢেকে মুখ বেদনাহীন ...
ভুলে যাওয়া স্বপ্নগুলো হারিয়ে কান্নার ক্ষমতা
ঢুকে যায় শূন্যতায়;
তাই প্রতি রাতে আমি নিজেকে গাছের ছায়ার সাথে
রুপোর সুতোয় ঝুলতে দেখি...  
আর তোমার মত দরজা বন্ধ করে উপসাগরের পারে বসে থাকি একাকী।