বলয় বৃত্তের চারপাশে অবকাশে
অস্তরাগের ছটায় দীর্ঘশ্বাসে,
পুড়ে ছারখার অন্তরাত্মার আঁচে
সূর্য, এখানে নিজের ছাইয়ে বাঁচে!
এখন আকাশে তারারা সকল নীল,  
আপন খেয়ালে দল বেঁধে অনাবিল...
নিভন্ত আগুন শিখার দাবানলে,
তুষের মতই ধিকিধিকি জ্বলে চলে।
সেখানে সাগর ঢেউয়ে ছেটায় স্নান...
গোধূলির সুরে বেজে চলা সেই গান  
গাংচিলেদের রূপালী ডানায় ওড়ে,
বালুকাবেলায় মুছে যাওয়া নাম ধরে।
সেখানে স্রোতের আওয়াজে সন্ধ্যে হয়,
আর দূরেতে আঁধার চুপটি করে রয়;
সলতে বেয়ে আগুন গড়িয়ে এসে
শেষ ছায়াটার পারে আমার দেশে,  
আলতো ছুঁয়ে আমার আঙুলগুলো...  
বসে পাশে, যেন নেই তার চালচুলো!
জলের ধারে নীলচে আগুন জ্বেলে,
গুটি গুটি পায়ে সম্মুখে ধরে মেলে  
নিষ্কৃতি পাওয়া যত কিছু চুপকথা...  
একলা আমি, আর আমার নির্জনতা!