আমার একটা স্বপ্ন আছে...


একফালি আকাশের গায়ে
আমার একটা ছোট্ট পাহাড় হবে,
তার চুড়ায় একটা কদম গাছের নীচে,
আটচালা এক ঘর দাঁড়াবে মাথা উঁচু করে।  
তারপর ছোট ছোট বেশ কিছু দালান ঘেরা কুঁড়ে
একে একে সাজবে ধাপে ধাপে, পাহাড়ের বুক জুড়ে।
পাহাড় ঘিরে থাকবে ধানের ক্ষেত, তারও বেশ কিছুটা পরে
একচিলতে এক কালো মেঘের থেকে ঝরবে ধারা, অঝোর ধারে।  
আর পাহাড় তলে, গাঢ় নীল রঙা ছোট্ট নদী একটা হবে,  
বাঁক গুলো তার নানা ফুলের শোভায় উঠবে ভরে।  
মেঘের ঘামেই বইবে নদী, নাইবে আপন বাঁকে।
যেদিন রাতে কদম ছায়ে উঠবে বাঁশি বেজে
চাঁদনী নিয়ে এসো ঐ আটচালাটার ঘরে,  
কালি, দোয়াত সাথে দিস্তে কাগজ হাতে,
দুধ, মধু মেখে সব মিষ্টি কথাই হবে।  


ছোট্ট একটা কবিগ্রামের
স্বপ্নে আমার জীবন বাঁচে...
কবিরা যেখানে আসবে, থাকবে, এবং যাবে,  
নিজের মত চাষ করবে, লিখবে এবং খাবে...


কবিরা মনের ছন্দে রঙে কপিলা-কুবের আঁকবে বসে,  
আর, চাঁদ-পাহাড়ে ইচ্ছপুরুষ হোসেন মিঞাও নাচবে।


সাম্যবাদের মিঠে সুরে সমান সমান দাবি ঘিরে  
ভালবাসার ভালো ভাষায়, সব সমান সমান বাঁচবে।