ছেচল্লিশটা বছর রয়ে গেছে পাঁজরের তাকে।
যা কিছু কুড়িয়ে নিয়ে ফেলে আসা,  
আড়চোখে যা কিছু দেখে নেওয়া,
সন্ধ্যেয় বকেদের দল বেঁধে বাড়ি ফেরা,
ঝাউ এর জঙ্গলে বোলতার চাক;
লন্ঠনের আলোয় খুঁজলে পাওয়া যাবে আজও...  
অন্ধকার পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে রাখা আছে।


লিছুগাছে পাখী তাড়ানো ক্যানেস্তারার গান,
লাল ডাবের গাছে কাঠঠোকরার গৃহস্থলীর কাজ,  
গোলদিঘিতে ব্যাংবাজির ঢেউ মনে রাখেনি কেউ...  
চাঁদের গায়ে লেগে থাকা চামচিকের মত
পাঁজরের অন্ধকার ভাঁজে ভাঁজে আজও লুকিয়ে রাখা আছে।  


আমার সাথে পানিনালার মাঠের একা শ্বাস নেওয়া,  
খড়ের জলের আমার সাথে এপার ওপার বাওয়া ,
বকশি বাগানে আমের সাথে আমার গন্ধ ধরা,  
বাঁশীর সুরে সর্ষে ফুলের শীতের হাওয়ায় দোলা,  
যত্ন করে রাখা আছে সব পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে, অন্ধকার তাকে।


লন্ঠনের আলোয় খুঁজলে পাওয়া যাবে আজও...  
ছেচল্লিশটা বছর রয়ে গেছে পাঁজরের তাকে।