আমি ঘুমের মধ্য
একটা মুক্তো হারিয়ে ফেললাম...
দেখলাম একটা সুন্দর সাজানো সবুজ বাগান;
তার দরজা দিয়ে আমি একটা গভীর স্বপ্নে ঢুকে গেলাম।
দেখলাম সেখানে তিনিই বসে আছেন, পার্থিবের বিপরীতে অপার্থিব!
সুন্দর ঝর্নাটার ধারে ধারে ঘুরতে ঘুরতে আমার মনে হলো স্বর্গটা যেন ঐ পারেই;
পেড়োতে যাবো, এক অপরূপ সুন্দরী নারী এসে আমাকে অভিবাদন জানালো হাত ধরে,
হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলো ওপারে, চিনলাম তখনি আমি, এই সেই আমার হারিয়ে যাওয়া মুক্তো!


তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্যে জিজ্ঞাসা করি...  
"তুমি কি আমার হারানো মুক্তো"?
সে বলে, "তুমি কিছুই হারাওনি।
মুক্তোটা নিতান্তই তোমার ঝরে যাওয়া এক শুকনো গোলাপ"...  
আমি তার হাত ধরে তার পাশে যেতে চাইলাম,
বাঁধা দিয়ে সে বললো...
"তাঁর করুণা ছাড়া আমি আমার থেকে পদত্যাগও করতে পারবো না"।
কে সে? উত্তরে সে শুধু বলে গেলো, মেষশাবক তাকে তাঁর রানী হিসাবে গ্রহণ করেছে।


ভাবলাম হয়তো সে ইন্দ্রাণীকে স্বর্গচ্যুত করে ছলনায় বেঁধেছে দেবতার সিংহাসন...
তার বুদ্ধিদীপ্ত প্রগাঢ় চেহারা প্রমাণ দেয় তার সে গুনের কথা;
অস্ফুটে সে বলে চললো, "সে স্থান ঈর্ষনীয় বা কাঙ্ক্ষিত নয়",
মন্ত্রোচ্চারে দেখালো আমায় জাগতিক পাপ, কৃপা আর পুণ্য, মর্ত্য ও স্বর্গের নন্দনকানন...
ভালো করে এবার তাকে দেখলাম!
মেষশাবকের রক্তে রাঙ্গা শরীরে তার
গলায় এক বহুমূল্য মুক্তোহার...  
গভীর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে সে বললে,
"যদি চাও তো সব ত্যাগ করে দিয়ে এই মুক্তাহার কিনে নাও"!


নেশাতুর আমি তাকে শুধোলে, সে দ্যাখালো আমায় স্বর্গের নন্দনকাননের পথ।
সে বলে চললো, "সে সোনার শহর... বৈভ্রাজের অংশ এক;
যদিও তা নিষিদ্ধ, তবুও উপায় একটা আছে"...


সেই সুন্দর শহর চূড়া দেখতে দেখতে
আমরা চলতে থাকি পাশাপাশি, ঝর্নার ধার দিয়ে...
পাশাপাশি একটু দূরে একটি মিছিলও যেতে দেখি আমি... স্তুতিজ্ঞ্যপনকারীর!
ওপারে যাওয়ার তাড়ায়, মুক্তো খোঁজার তাড়নায় পড়ে
ঝর্নায় ডুবে যেতে যেতে হঠাৎ আমার স্বপ্ন ভেঙে যায়...  
জেগে উঠি ঘুমের মাঝে;
সে চিরন্তন নারীর কথা মনে হয়...
মনে হয়, সব ত্যাগ করে না হয় রক্ত ধুয়েই মুক্তো খুঁজলে হয়!