কত দিন কেটে গেছে,
সে বোস্টুমি আর আসেনি ফিরে;
আর আসেনি বাকি আধখানা গান শুনিয়ে দিতে...  
শুক্লা দ্বাদশীও আর কখনও আসেনি ফিরে।


বড় হয়েছি আমি...  
পদ্মফুলের মাথায় বোধহয়
আর সাপে ভ্রমরে খেলা করে না আজ,
তিন প্রহরের বিলও বোধহয় শুকিয়ে গেছে,
বোস্টুমির সাথে তুমিও কি
চলে গেলে অনেক দূরে নদের আলী!
আমার আকাশও ঝুল ছুঁচ্ছে কোনে...
আমার থেকেও বড় হয়েছে ঘর,
যায় না দেখা তিন প্রহরের বিল কড়ি বরগার ফাঁক দিয়েও আজ আর।

রয়্যাল গুলির ছটা, লাঠি-লজেন্সের স্বাদ,
ভাঙা বেড়া পেড়িয়ে তারা আমার ঝুলের গাদায় বন্দী আজ।
আর সোনার বালা পরা ফর্সা মেয়েদের দল,
আজকে রাসের দিনেও এখনও হাসছে... চঞ্চল!
আজও যদি তারা খিড়কি টপকে তাকায়,
কড়ি বরগার ফাঁক দিয়ে সে দৃষ্টি আজও আকাশ আঁকড়ে রয়!
বাবা, তুমি তো আর ওখানে এখন অন্ধ নও...
দেখছো সেদিন, তোমার কথা আজও সত্যি নয়!


বুকে এখন শুধুই মাংস মাংস গন্ধ...
আতর মাখা রুমাল দেরাজে আজকে বন্ধ...
সত্যিকারের ভালোবাসা কদিন আগে
হাতের রেখা দিয়ে হেঁটে চলে গেছে,  
বোস্টুমি আর নদের আলীর পিছে।
নীল শুকানো পোড়া পোড়া লাল রঙে
১০৮ টা পদ্ম দোমড়ানো মোচড়ানো...
হয়তো সে বা হয়তো যে কোনও নারী...  
তারা শুক্লা দ্বাদশীতে আর আসে নি ফিরে।
কতদিন গেছে কেটে,
আর হয়তো কেউ আসবে না ফিরে।