ঐ লাল বাড়িটার
চিলেকোঠা ঘরের
কোণে ঝুলে থাকা
ঘুড়ির মতন,
এক একটা জীবন;  
দূরের সুপুরি গাছে
একলা বসে থাকা
কাকের মতন,
নিরুদ্দেশে ডেকে চলে...
আপন খুশির খেয়ালে।
দিগন্তের নীলচে মেঘে
হারাতে চায়
প্রত্যয় নিয়ে নিজ মনে,  
সে স্বপ্নে সাজায় জীবন;
যে একদিন তাকে কেউ
করবে আপন...
গোলাপ পাপড়ির মতন
বাহুডোরে বুকের ভেতর...
বহু আদরে যতনে ভরে
রাখবে সাজিয়ে,  
মণিকোঠায় সে মনেরই,
হারিয়ে চোখের চাওয়ায়
আগল দিয়ে সারাক্ষণ!


কিন্তু সচরাচর এমন হয় না।
কখনও হাওয়াবয় অনিয়ম;
নিজের মনেই প্রত্যয়
মরে ঝড়ের হাওয়ায়,  
উড়ে যায় সে দিক দিগন্তের নীলে...
ছোট থেকে আরও ছোট হতে হতে
দিকচক্রবাল পারে
অদেখা অস্তিত্বের
ঘরে, আবছায়া ঘেরা আঁধার কোণে
বিশ্রামে লীন হয়ে থাকে সঙ্গোপনে।  
অস্ফুটে কখনও
কথা বলে ওঠে
নিরন্তর একাকীত্বের কবির কলম,  
পরজীবী হয়ে শব্দেরা বাঁধে জোট
অব্যাক্ত মিছিলে...  
মুখহীন, কণ্ঠহীন,  
সাড়ি বাঁধা সাড়িসাড়ি বিভক্ত দলে,  
চাপ ধরা বেদনা জমে থাকার তলে।  
দাবিদাওয়া হারা
জীবনে বয়ে চলা
যেন অভিযোগহীন এক মিছিলের প্ল্যাকার্ড...
গায়েতে লেখা, "এমনি করেই বেঁচে থাকা"!