হঠাৎ করে ডেকো না আমায়,  
ভয়ে গায়ের রক্ত শুকিয়ে যায়... হেমন্তের মাঠে
কাটা ধানের পাশে জোনাকির আলো
মুক্তোর মত কাশের হাওয়ায় দুলছে
ময়ূরাক্ষীর জলে,  
এই অর্ধ চাঁদের রাতে
তোমার গায়ের কুয়াশা গন্ধ
ঘাসের থেকে সবুজ,
আকাশ থেকে নীল আর
রক্ত থেকে লাল...  
কেড়ে আনুক আজ, আমার কাছে।


ধোঁয়াশাচ্ছন্ন জন্মরহস্যের পাণ্ডুলিপিতে
প্রথমেই সন তারিখ লিখে
সৃষ্টি করবো প্রেম, নিয়তির প্রতিকৃতিতে...
কারনেশনের গন্ধে উড়ে যাক তোমার সোনালি চুল...  
তুমি সুরঞ্জনা হও, বা নীলাঞ্জনা,
ময়ূরাক্ষীর মায়াজালে বাঁধা পোড়ো।
জেনো, হাতের জিনিস ফেলে দূরের জিনিস নিতে নেই!


মায়ার বাঁধা পেড়িয়ে এড়িয়ে যেও যা কিছু চঞ্চল,  
চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী
বাড়ন্তরা অনেক বেশী খায়...
স্থির হয়ে বসো আমার পাশে
সুখের সময়গুলো বড়ো দ্রুত চলে যায়।
যৌবন মূর্ছিত তাৎক্ষনিক প্রেম
ঝরে গেলে কে নেবে তাকে
অন্ধকার শালবনে ?
দেখো ঝড় থেমে গেলে, সব শান্ত হয়।


এমন আবছা রাতে
অন্ধ মুক্তির বাসনারা চোখ খোলে,  
শরীর নয়, আত্মার কাছাকাছি
কথা বলে যায় তারা...  
রক্ত থেকে লাল,
আকাশ থেকে নীল আর
ঘাসের থেকে সবুজ মেখে নিয়ে
মায়াজাল বুনে চলুক ময়ূরাক্ষীর জলে...
বেড়িয়ে আসুক নিয়তির প্রতিকৃতি থেকে প্রেমানু হয়ে,
সন তারিখ দশক পেড়িয়ে।


তুমি যেই হও
সুরঞ্জনা বা নীলাঞ্জনা,
ময়ূরাক্ষীর মায়াজালে বাঁধা পোড়ো...
সে দৃশ্য আমার সাথে দেখো দাঁড়িয়ে স্থির হয়ে।