এ শহরের ঘামজ্বরে
বারুদের গন্ধ এখনও পাওয়া যায়,
ক্লান্তিতে আধো স্যাঁকা
পোড়া পোড়া মানুষের মাঝে।
তাদের হোলদে দাঁতের ছোপে
গ্লানি মাখা ইতিহাস কথা বলে ফেরে;
পাংশুটে আঙ্গুলগুলোয় খেলা করে
ক্রুর অভিসন্ধিরা দল বেঁধে;
আপনজনের জমাট বাঁধা শ্বাস,
উঁকি মেরে নখের কোণে আজও লক্ষ্যস্থির...  
সুযোগ পেলেই হয়তো বা হবে হামলায় তদবির!
প্রতিঘাত ঘুলে জলে তারা আছে অপেক্ষায়।
আগুন জ্বেলে নিভিয়ে দিয়ে লাজ,
লোভের ভস্মাধারের নেমিতে কৃষিকাজ...
এখানে বৃষ্টি হয়না তেমন,  
হলেও সে দু-এক ফোঁটা,  
মাটি জ্বলে যায় আম্লিক হৃদ্যতায়;
যা কিছু জন্মে উদ্ভিদ নাম তার,  
তাতে ক্লোরোফিল মাখা বারুদ ফসল ফলে!


এমনই কোনও সে চাষের জমি আজ,
হয়তো বা কোনও বধ্যভূমির সাজে
দুহাত বাড়িয়ে ডাক দিয়েছে আমায়,  
জাপ্টিয়ে ধরে গল্প লিখতে বলে।
যতবারই দেখি হাতের কলম খানি
মনে হয় যেন বাঁকা এক তরবারি...  
আঁচড় কাটলেই নখের কোণের থেকে
অশরীরীরা দামাল শিশুর মত
আগুন ঘোলা জলের বেলুন ছুঁড়ে
উঠবে খেলে, ক্লিশে নাগরিক স্পন্দনে।
সেই আধপোড়া অভিসন্ধিই আমি...
গুছিয়ে নিয়ে অগোছালোতার ঘর,
সবুজ থেকে বারুদ নিয়ে হাতে
নীল দহনে ক্ষয়াটে ছন্দ ধরি।