দোলমঞ্চে মরা জ্যোৎস্নায়
বালিয়াড়ির ওপারে খেয়াঘাট পর্যন্ত
পূব দিগন্তে ঝলসানো রুপোর আলো...  
তাতে গাংচিলের নরম বুকে সূর্যাস্তের লাল মেখে
এক নিভৃতবাসের গল্প বলে চলে,
শাল পলাশের জঙ্গল।


এখন এইপারে আমার পাশে
ছায়া হয়ে বিশ্বাস হেঁটে চলে, জীবনের সাথে
দুই নৌকায় পা রেখে, জল ছুঁয়ে নেবে বলে।
নিরিবিলি ধানখেত, আমবাগান
পলেস্তরা খসে যাওয়া দেওয়ালের দিকে
শান্ত, অপলক চেয়ে থাকে পলাশস্তবক...  
কুমকুম রাঙা পৃথিবীতে।


আর ভাঙাবিশ্বে ঊর্ধ্বতর মন্দির চুড়োয়,
সময় থমকে দাঁড়িয়ে দ্যাখে পর্যায়ক্রমে
অসুরলোক ও দেবলোক, সত্যযুগে দুই পৃথিবীতে... 
রাম ও রাবণ মাঝে, ত্রেতায় এক পৃথিবী...
কৌরব ও পাণ্ডব সাজ, এক সংসারে দ্বাপরে...
আর আমারই মাঝে কলিযুগে স্রোতের বাঁকে...  
পলাশ-ধোওয়া নদীর কালো জলে নিভৃতবাসের গল্প মাঝে
ভালো, খারাপ, ধর্ম ও অধর্মের আবছায়ে একসাথে বাস করে।