সপ্তম কোণে যেখানে জাহাজটি ভেঙে পড়েছে,
সেখানে ডুবন্ত নাবিকের মুখের জলছবিতে
অভিবাসী যে উদাত্ত মৃত্যু উল্লাস মুখরিত হয়;
সেই বিষুবীয় অঞ্চলে রাতারাতি গান করে
পুরুষ নাইটিংগেল।
সে কি চাইবে না শুনতে, সাগরের মাঝখানে
কান্নার স্বরলিপিতে মৎস্যকন্যা বাজায় বীণ!
চাইবে কি ছুঁয়ে দিতে সে নাবিক দিগন্তের তৃষ্ণা...  
মৎস্যকন্যার ঋতুস্রাবে যেখানে গোধূলি আসে
সাগর জলে অন্তহীন!
সে নারীর আবেদন চোখ বোঁজার আগে পর্যাপ্ত
চাইবে না কি এক ঝলক, ঘুমে মুঠো ভরা রাস্তায়
সাগরের জল বেয়ে আসুক উঠে দু বাহুর বিশ্রামে...  
গোধূলির সজ্জিত সলিল শয্যায়, রক্তাভ ক্রাভ্যাট
হয়ে থাক মিলন সাক্ষী!
যদি তাই চেয়ে থাকে অন্ধপথগামী, ঝড়ে ঝোড়ো পথিক
তবে ক্লান্ত বাতাসে জড়িয়ে ধরুক কবিতায় একটি কবিতা;
অলংকৃত ঘুমদেশে যদি জাগে মৎস্যকন্যার ঘুমন্ত প্রতীক্ষা...  
স্পর্শ হলে অধরে ওষ্ঠ, বৃষ্টিতে উঠুক জেগে মাতাল সে কবি
যে শিখিয়েছিল গান...  
উড়ে যাক দৃপ্ত ভঙ্গিতে পুরুষ নাইটিংগেল নক্ষত্রের দরজায়,
তার গানে আর কাজ নেই আজ। সপ্তম কোণে সাগরের জলে,
ভাঙা মাস্তুলের ছেঁড়া কাছিতেও উঠবে সুর, বৃষ্টি ভেজা ক্রাভ্যাটে;
ধুয়ে গিয়ে লাল বিষুবীয় নীল রাতে ঘুমভাঙা কবিতার গান
গাইবে নাবিক নাইটিংগেল!