আজও বলি জেনো বদলায় না কিছুই,  
থামে শুধু ক্ষণিকের ক্লান্তিতে।  
যে বদল পেয়েছো হাতে ,
হাতে হাতে ঘোরার পথেই আবার বদলে যাবে।  
সেদিন যারা ধরবে নিশান,  
ছুটবে আবার তারা
বন, জঙ্গল, নদীর ধারে, দিন বদলের গড়ে।
হয়তো তাই
খোঁজের বশেই, এসেছ এইখানে
ধরতে নিশান শক্ত হাতে,  
দিন বদলেরও পরে।


এই যে দেখছো নদী...  
তার ছোটো বাঁকটার পরে
যদি পাও দেখা আজও
এক ভাঙা বাড়ি, লালচে কঠিন জ্বরে
দাঁড়িয়ে একাকী, শূন্য দৃষ্টি আকাশে গেঁথে  
এখনও গুমরে মরে...
তাহলে জেনো,
পেয়েছো খুঁজে আমার ঠিকানা তুমি।


সবাই যা খুঁজেছিলো,
নিজের মত করে ছাপার হরফে...
আমার হারিয়ে যাওয়া ভোরে।
বুটের ভারী শব্দ
হাহাকার করে খুঁজে ফিরেছিলো...
না খুঁজে পাওয়ায় ছিঁড়ে দিয়েছিলো
মাটির বুক তীব্র রোষে বেয়েনট...  
না ছুঁতে পেয়ে আমায়
ভেবেছিলো হারিয়ে পথের দিশা,
অন্য কোনওখানে রয়েছি অজ্ঞ্যাতে...  
দিকচক্রবাল পাড়ে আসমানি ফরমানে।


বেশ কিছুদিন
নোনা দেওয়াল থেকে খসে যাওয়া চুন,  
আর ভাঙা দরজার কাঠে ঘুণ
শুধু কথা বলে চলে,  
আর কেউ আসে না যখন...
তখন বুঝি,
বদলে গেছে দিন।
ফুরিয়েছে দরকার, তাই
ঝরে যাওয়া রক্তের দাগ
সব বিষণ্ণ মন্তাজ...  
আজ ইতিহাসের পাতায় খেলা করে।  


বহুদিন পর
তবুও এলে তুমি,
আমার লালচে কঠিন জ্বর ছাড়া
এখন আর কি দিতে পারি।  
তবু আজও শোনো বলি...
কিভাবে বাঁচতে হয়
মরে যাবার পরও,  
যারা চলে গেছে
তাদের প্রশ্ন করো,  
বলবে তারা...  
বদল কোনও বদলা নয়,  
স্বপ্ন একটা কোনও।
তাই প্রতিটা শুরুর পরেও
নতুন শুরু লুকিয়ে থাকে,  
তারই শেষের বুকে।

এমনই কোনও
আরও অনেক নদীর ধারে,  
অনেক ভাঙা বাড়ি লালচে কঠিন জ্বরে
দাঁড়িয়ে একাকী, শূন্য দৃষ্টি আকাশে গেঁথে,    
গুমরে মরে স্বপ্ন দেখে...  
নিশান দেওয়ার নতুন হাতে...  
সবাই আছি একই খানে,  
ঠিকই পাবে খুঁজলে, দরকারে।

বদলে ফেলো বদলটাকে,  
বারেবার জোর করে...  
তবেই হবে আবার বাঁচা,
স্বপ্ন দিয়ে নতুন করে।