বিধাতার প্রথম সৃষ্টি
গভীর দুঃখে খুলে ফেলে সব আভরণ
বার বার সে পড়ছে লুটিয়ে শয্যায়;  
কিসের দুঃখ তার!


গ্রামের মানুষ পেয়েছে খুঁজে
কপালের টিপ, কানের ঝুমকো, গলার মুক্তাহার...  
নৈশ অভিসার শেষে ফিরে যাওয়ার পথে বৈভ্রাজে,
এক নিশ্চুপ হাহাকার।


শুধু সেই একা পরে রয়
আলস্য ভেঙে নাভির গভীরে।  
অপেক্ষায় পুড়ে যাওয়া শ্যামলা দেহরস,  
পাকা বিম্বের মত ওষ্ঠ থেকে
বয়ে যায় ক্ষীণ কটিদেশ বেয়ে, বিরহ জ্বালায়...  
করুনাসিক্ত হৃদয় কি তোমার নয়!
অভিভুত হবে না?


এই সে যক্ষপ্রিয়া...  
রামগিরি পাহাড়ে বিদিশার ঢালে,  
আজও অপেক্ষায়!
যৌবনবিলাসী গিরিগুহায়
সুবাসিত অঙ্গে, বিলাসিনী রমণী
আপনা মাংসে হরিণা বৈরী ন্যায়...  
আজও অস্থির কাতরায়,
শুধু ব্যাধের অপেক্ষায়।


যক্ষরাজের সময় হয়েছে ক্ষয়,  
যদি এভাবে রত্নপ্রদীপ নিভে যায়...  
তুমি তো শিকারি পুরুষ, উন্মুক্ত ঔরস;
আজও শিপ্রার তরঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস
গন্ধে পদ্ম ফোটায়;
শিরায় শিরায় ক্লান্ত প্রিয়ার গ্লানি দূর করে দাও,  
যাও বিশ্রাম নিয়ে এসো কিছুক্ষণ।


অলকা পথে তেমন মেঘ হয়না আর,  
যক্ষরাজেরও নেইকো তেমন ভয়।
নখক্ষতের গভীর চিহ্নে উঠুক কেঁপে গরভার...  
সংবাহিত যদি তুমি হও,
দেখো তবে সে রতিশ্ৰান্তা তন্বীশ্যামা,  
চাঁদের ছায়ায় আবার দেবে পাড়ি
কিন্নরগীতে নিয়ে চন্দ্রকান্ত মণি।


শান্তি দাও তাকে, স্বস্তি দাও,
মুক্ত করে যেতে দাও অলকাতে,  
সেই হোক বিধাতার প্রথম আদর্শ সৃষ্টিতে;
পৃথিবী উঠুক বেঁচে।