পহেলা বৈশাখ মানে তরুন-তরুনী,
শিশু-কিশোর, কপোত কপোতির,
বাঙালির সাজে সাজা,
পহেলা বৈশাখ পেরুলেই তো আর
থাকেনা বাঙালিয়ানা তাজা।
একদিনের এই বাঙালিয়ানা টা উড়িয়ে যাক,
বাংলা ভাষী বাঙালির রূপ ফিরিয়ে পাক।
কেন মোরা আজ বাঙালি হয়ে
বাঙালির রূপ দেখিতে হয়েছি কানা,
বৈশাখ তোমার কালবৈশাখীতে উড়িয়ে নিয়ে যাও
এই একদিনের বাঙালিয়ানা।
একদিন কেন? থাক না এই বাঙালির পোশাকটা
সারা বছর ধরে গায়ে,
থাক না এই বাঙালির সাজ.......
মোরা বাঙালি!
মোরা বাংলা ভাষার কাঙ্গালি।
বাঙালির সাজে সাজিয়া আমরা বাংলায় করিব রাজ।
বাপ-দাদা মোর বাংলার মাটিতে ফলিয়েছে
সোনার ফসল, দিয়েছিল জমিতে লাঙ্গল,
সারা বছর খেটেছিল হাড় ভাঙ্গা খাটুনি,
আর আজ এক দিনেই হবে কি মঙ্গল?
লুঙ্গি গেঞ্জি পড়ে কৃষক ক্ষেতে করিতো কাজ,
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তবুও ছিল না ক্লান্তি,
গোটা বছর তারা আনন্দে থাকিয়া গায়িতো সুরে গান তবে কেন আজ পহেলা বৈশাখ একদিনের এই শ্রান্তি।
আজ একদিনের বাঙালি আমরা
বছরের বাকি দিনগুলি কি হবে,
বাকি দিনগুলি বাংলিশ বনে
আবার ফিরবে পহেলা বৈশাখ কবে।
বৈশাখ বরণ করতে মোরা যেমন বাঙালির পোশাক পরি
সারাবছর রাখিতে চাই আমি সেই পোশাকটা ধরি।
একদিন নয় সারা বছর আমি ঐ বৈশাখী পোশাক টাই
গায়ে জড়িয়ে যুগ জনমে বাঙালি থাকিতে চাই।


৩রা বৈশাখ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
(১৬/০৪/২০১৯ ইং)