দারোগা মশাই দিচ্ছে ডিউটি
গোটা তিনেক সিপাই নিয়ে,
পেট্রোল ডিউটি করছে রাত্রীতে
অলি গলি,চিপা রাস্তা দিয়ে।


পাশের গ্রামে হচ্ছে যে আজ
ফর গুডি ডাব্বু দিয়ে জুয়া,
খবর নিয়ে এল তার তরে
মোল্লা বাড়ীর কাজের বুয়া।


খবর পেয়ে দারোগা মাশাই
লঠিটা বাম বগোলে নিয়া,
জুয়া ধরতে ছুটলো তারা
ঝার জঙ্গলের আড় দিয়া।


দারোগা সাহেব যাচ্ছে আগে
পিছে পিছে যাচ্ছে সিপাই তিন,
ঐ ঝার জঙ্গলে বসেযে ছিল
জুয়ারু সোর্স নিতাই জ্বীন।


নিতাই জ্বীনে করলো চিৎকার
এবার তোরা সবাই পালা,
ঐ দেখা যায় আসছে তেরে
দারোগা কমল চন্দ্র বালা।


কাল্টু চোরা পরলো ধরা-
বাকি গোটা বিশেক জুয়ারী ফাট,
এ্যারেষ্ট হয়ে একাই কাল্টু চোরা
আতঙ্কে করলো এ্যাটাক হার্ট।


অবস্থা বেগতিক ব্যবস্থা নিতে
কমল মেডিকেলে করলো ফোন,
জরুরী ডাক্তার ফোন তুলে কয়
আ! আবে তুমি কোন?


কমল দারোগা বলে কেদে
তারাতারি  এ্যম্বুলেন্স পাঠান,
আসামি করেছে হার্ট এ্যাটাক
আমারে আপনি বাচান।


এ্যাম্বুলেন্স এল আসামি নিল
পু-প্যা পু-প্যা পোয়াচ্ছে নাতো রাত,
কাল্টু চোরা মেডিকেল না যেতেই
হয়ে গেল চিৎকাত।


সকাল বেলায় বিশাল মিছিল
পুলিশ নির্যাতনে কাল্টু মারা,
কমল দারোগা বেজায় খারাপ
ওকে এই থানা থেকে তাড়া।


"ঠাই নাই- ঠাই নাই--
কমল দারোগার ঠাই নাই
দাবি মোদের একটাই--
কমল দারোগার ফাঁসী চাই।"


পাতলা কাগজ আসলো থানায়
কমল চন্দ্র বালার ক্লোজ আদেশ,
ক্লোজ হয়ে কমল দারোগার
সময়টা যাচ্ছে না একটুও বেশ।


বসে বসে ভাবছে কমল
এখন কি যে হয় - কি করি,
ভাল কাজে আসবে বিপত
এটাই হচ্ছে "দারোগা গিরি"।


ইং ০৮/১১/২০১৭ তাং ১৭.৫০ মিঃ।
এই কবিতাটি পুলিশের এসআই ও জন- সচেতনতায় উৎসর্গ।