গল্প হলো  হাতীবান্ধার হাতী,
সেই হাতী পুষেছিল খান সাহেবের নাতি।
হাতীটা ছিল খুবেই দুষ্ট,
এলাকার লোকজনকে রাখতো না সে তুষ্ট।
কৃষকদের আবাদের করতো  ক্ষতি,
বেপরোয়া ছিল  যে বেজায় অতি।
ঘর ভাংতো আর ক্ষেত করত নষ্ট,                          
তার পায়ের তাবাতে হয়ে যেত ভৎস।
খান সাহেবকে বলতে গেলে-বৃটিশ জমিদার খান,
পেয়াদাকে ডেকে বলতো-এখুনি চাবুক আন।
এই কথা শুনে কৃষকরা থাকে দুরে,
এদিক ওদিক দিক পায়না মাথা তাদের ঘুরে।
অবশেষে কৃষকরা সকল বিভেদ ছেদে,
রেল লাইনের শিমুল গাছে হাতীকে রাখলো বেধে।
যাচ্ছিল ট্রেনে সেখান দিয়ে বৃটিশ লার্ট,
গন্তব্য যে ছিল তার লালমনির হাট।                          
হাতী আর লোক দেখে ট্রেন যায় থেমে,
লর্ট বাহাদুর ট্রেন থেকে আসে নিছে নেমে।
ঘটনা শুনে লর্ট বাহাদুর দিলো আদেশ,
খান সাহেবের জমিদারী আজকেই শেষ।
ট্রেন থামাতে থেমে গেলো জমিদারের ধান্দা,
রেল ষ্টেশন ঘোষনা দিল নাম হাতীবান্ধা।
হাতীবান্ধার নামকরন এভাবেই শুরু,
বলেছিলেন শৈশবে-স্কুলের গুরু।
সেই থেকে পার হলো দুইশত বছর,
হাতী নাই সেই দিকে নাই কারোর নজোর।
মোতাহার হোসেন মন্ত্রী হলো-হাতীবান্ধার সন্তান,          
লখো লাখো জনগন- দিল তাকে সম্মান।                  
হাতীবান্ধার হাতীর কথা ভাবেন মন্ত্রী মশাই
সেই হাতী জনগন দেখবে কেমনে সবাই।
     কৃত্তিম হাতী বানিয়ে তাই,
     গন মানুষের মোতাহার ভাই-
পায়ে শিকল দিয়ে রাখলো বেধে গাছের সনে,
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে।
এই হাতী দেখতে আজ নেইতো কারো মানা,
দেখতে তারে চলে এসো লালমনির হাট হাতীবান্ধা থানা।