(পারুলীয়ার হাট)


নদীময় বাংলাদেশের
তিস্তা নদীর তীরে,
পারুলীর হাট জমে রোজ রোজ
শত শত লোকের ভীরে।
হাটে আসে সেথা কত লোকজন
কত যানবাহন নিয়ে,
রাজধানী গামী মহাসড়ক খানি গিয়াছে
হাটের মধ্যো দিয়ে।
বাস,অটো, ভটভটি, বাই-সাইকেল মটর-সাইকেল, রিক্সা-ভ্যান আবার
কেউবা পায়ে হেটে,
নদীর ওপার আর চরের মানুষ
আসে নৌকায় সেটে।
কাচা পাকা ঘর কিংবা মাটিতে
হাজারো দোকান-পাট,
সাকাল অপেক্ষা বিকাল বেলায়
জমিয়া উঠে যে হাট।
কেউবা বেচে কেউবা কেনে
কেহ ঘোরে ডানে- বায়,
হকারের মাইকের শব্দে কখনো
কানপাতা বড় দায়।
পাট-তামাক ধান চাউল- মাছ মাংস
আরো বিক্রি হয় ছাগল,
পারুলীয়ার হাটে ছিল এক সময়
এক জটা চুলের পাগল।
সে দুইটি টাকা চাহিয়া নিত
বলতো দুইটি টাকা হবে.....,
দশ বিশ একশত দিলেও নিত না
দুই টাকায় নিত তবে।
আলু বেগুন কুমড়া পোটল
বেচে আবুল চাচা,
সবজী বেচিয়া বয়সটাই শেষ
রোগা হয়েছে বাছা।
পল্লী চিকিৎসক সেকেন্দার নানা
কাজে গুনে নাম তার,
সেবা দিতে তিনি সদা প্রস্তুত থাকেন
কখন প্রয়োজন হবে কার।
শৈশবে এই হাটে আসতাম
বাজার ব্যাগ হাতে নিয়া,
বলতো বাবা লেখাপড়া আছে তোমার
বাড়ী যাও
তড়িঘড়ি বাজার করিয়া দিয়া।
পারুলিয়ার হাটে বাসস্টান্ডে
বাস দাড়ায় রাস্তার পাশে,
কেউ যায় আত্মীয় বাড়ী কেউ যায় কাজে
কেউবা আবার আসে।
শৈশবকালে এইনা হাটে
কেটেছে কত বেলা,
আজো আমি ভালবাসি তারে
করি না কখনো হেলা।


ইং ০৯/০১/২০১৯ খ্রিঃ।