একদা এক ত্রিপুরা ষোড়শী রমনীর
মাইসছড়ি বাজারে দেখা;
বারবার চেয়ে আমার পানে,
ধুরুফুরু বুক হৃদয়খানি কাঁপে
চোখের জাদুতে শিকল পড়িয়ে যেন
সে সজোরে আমায় টানে।
লোকভয়ে আমি পিছুপা হতে চেয়েও
যেতে পারিনি একপা পিছে,
ভেবেছিনু একি স্বপ্ন নাকি বাস্তব
নাকি তার চাহনিটাই মিছে।
চোখাচোখি দুজনাতে কিতার রূপরাশি
চোখে ঠোটে প্রেমচুম্বক মুখে মুচকি হাসি।
কাছাকাছি এসে বলল মগোদা খিচু 'ন' বোজদ্দে
অর্ধেক পাহাড়ি অর্ধেক চাটগাঁইয়া ভাষা,
বুঝি নাই তখন হৃদয়ে তবু
জাগিল প্রেম ভালবাসা।
কোথায় বাড়ী কি করো? বলেছিলাম
সেই বাজারে লুকোচুরির ছলে,
বলেছিল সে ফাস্ট ইয়ারে পড়ি মহলছড়ি কলজে
বাড়ী ধর্ম পুকুর তলে।
এমনি সময় দিদিমা তাহার হাতখানি ধরে
টেনে নিয়ে যায়,
অপলক  নয়নে ফিরিয়া ফিরিয়া
সে আমার দিকে চায়।
নির্বাক আমি তাহার পানে
অশ্রু সজল দৃষ্টি,
এমনি করে হৃদয় মাঝে সে দিন
প্রথম প্রেমের সৃষ্টি।
দ্বিতীয়বার দেখায় দুজনাতে মোদের
হয়েছিল অনেক কথোপকথন,
কথার মাঝে সে যেন আমার আর
আমি তাহারি মতন।
এমনি ভাবে মাস গড়িয়ে দিলো সে তার দিল,
হৃদয় আমি সপিনু তারে হয়ে গেল মনের মিল।
ত্রিপুরা সে অাদিবাসি ধর্মতে সনাতন
আমি মুসলমমান,
ধর্ম নামে আসিলেও বিপদ
দিতে প্রস্তুত দুজনে যান।
দুটি হাত ধরে বলছিল ধর্ম পুকুরে নাকি গোসল করিয়া আসিলে ঘুরে,
দুজনের মনের চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হয়
আপদ বিপদ চলে যায় দুরে।
তার কথাতে মোরা সেদিন
ধর্মপুকুরে গোসল করে,
ভেজা শরিরে তার রূপের ঝলকানিতে
নয়নমণি, হৃদয়-মন গিয়েছিল ভরে।
সেই দিনগুলি হৃদয়মনে সর্বক্ষনে
সে যেন স্মৃতির ভঙ্গা ফ্রেম,
ভুলিতে পারিবোনা, চাহি না ভুলিতে
সেতো আমার প্রথম প্রম।