দুজনা যে সেদিন চলেছি অনেক পথ
একে অপরকে অাপন করে,
মধুময় সেই দিন গুলি মোর তাই
বারংবার  মনে পরে।
তার সাথে বয়েছি পাহাড় চুড়া
কত যে গল্পের মেলা,
নির্জন পাহাড়ে গাছতলাতে
কেটেছিল কত বেলা।
না দেখিলে তারে একটি দিন
হৃদয়ে বাজিত দুঃখের বীণ।
সে যে আসায় ভালবাসতো
দিদিমা তার জানতো,
তাহার খবর আমার তরে
মাঝেমধ্যে দিদিমাও আনতো।
একদা দুপুরে খবর এলো;
লেবুছড়ি বাজারের পার্শে চান্দের গাড়ী
পাহারের নিচে পরেছে গড়ে,
বেচে আছে মাত্র তিনজন
পাহাড়ি বাঙ্গালি নয়জন গিয়েছে মড়ে।
এমন সময় পিছন থেকে হাউমাউ করে কেঁদে
কে যেন ধরিল জরিয়ে,
ঘুরে দেখি দিদিমা বলছে লীখা বেচে  নাই
ঐ দুর্ঘটনায় জীবন গিয়াছে তার গড়িয়ে।
আকাশ কাঁপিলো বাতাস কাঁপিলো
কাঁপিয়া উঠিল ভূমি,
দেহখানি কাঁপিলো চিৎকার করিলাম
লীখা কোথায় তুমি।
জীবন স্রোতের ঘুর্নিপাকে আবির্ভুত
এ কোন সুনামি,
হৃদয় ভাঙ্গিয়া চৌচির কেন
বলে দাও অন্তরযামি।
নির্বাক নয়নে চাহিয়াছি আমি তার জ্বলন্ত চিতা
এ কোন বচনা,
ভুবন  কাঁদিয়ে করলে কেন হায়;
প্রেমের সমাধি রচনা।