আমি দেখেছি নয়ন ভরে, শিশির ভেজা ঊষা,
দেখেছি বাংলার হিমেল হাওয়ায়, প্রত্যুষের কুয়াশা;
ঘাসফড়িং যায় নাচতে নাচতে, ঘাসেই মেলামেশা।
বছর ধরে একুশের অপেক্ষায়, প্রভাতফেরির আশা,
ভাষা শহীদদের স্মরণে এ দিন, চোখের জলে ভাসা;
শহীদ মিনারে হেঁটেই যাবো, এই থাকে প্রত্যাশা।


মনোরম প্রকৃতি, ফসলের মাঠ শস্য-শ্যামল রাখে,
সারা দেশেই আনাচে-কানাচে, ফসলে ভরা থাকে;
ঘোর অন্ধকার শীতের রাতে, খেঁক-শেয়ালে ডাকে।
প্রাথমিক স্তরে জীবনের শিক্ষা, বিনা মূল্যেই শিখে,
বিনা মূল্যে বই খাতা পেয়ে, তাতেই ওরা লিখে;
শিক্ষার হার বেড়েই চলছে, যাচ্ছে আলোর দিকে।


আমি দেখেছি ভরা বর্ষায়, জলতরঙ্গের খেলা,
কৃষক তাঁর নানা কাজে, চালিয়ে নেয় ভেলা;
ভরা বর্ষায় স্বচ্ছ জলে, বাতাসের ঢেউ তোলা।
বিলের জলে রৌদ্র গগনে, ঠেলা জালের ঠেলা,
মাঘের শীতে রাতে শুনেছি, আয়না বিবির পালা;
কখন দেখবো ষাঁড়ের লড়াই, মন যেনো উতলা।


ভালোবেসেছি এই মাটিকে, জীবন এখন যেমন,
কতো করেছি মধু আহরণ, তখনো ছিলো এমন;
মাঝ পুকুরে সাঁতার কাটি, পানিতে নামি যখন।
কাদায় নেমে অনুভব করি, কাদামাটির কি ধরণ,
গায়ে শিহরণ জাগিয়ে তুলি, কাদায় ডুবিয়ে চরণ;
মাতৃভূমিতে কাদায় নামতে, করে না কেউ বারণ।


রাতের আঁধারে লক্ষ তারা, দেখি যখন নয়নে,
জোছনা রাতে আলোর ঝলক, পড়ে তখন বদনে;
রূপসী বাংলার এতো রূপ, ভুলি আমি কেমনে।
সাদা মেঘের আনাগোনা, দেখি নীল আসমানে,
তপ্ত প্রাণও শিহরিত হয়, রংধনু যখন গগনে;
দীর্ঘ সময় চেয়ে চেয়েই, কাটিয়ে দেই আনমনে।