আমি দেখেছি পাহাড়ী নদী, ঝর্ণার পানি পায়,
দূর পাহাড়ের বুক চিরে, এঁকেবেঁকে যায়;
লুসাই সুরে লুসাই কন্যা, ডিঙ্গি নৌকা বায়।
পাহাড় চূড়ায় সাদা মেঘ, গায়ের সাথে মিশে,
মেঘের ভেলা ভেসে যায়, পাহাড় ধুয়ে শেষে;
পাহাড় বেয়ে ঝর্ণা হয়ে, গড়িয়ে জল আসে।


পাহাড় চূড়ায় মেঘ কুয়াশা, উড়ে বসে জুড়ে,
ভোর বেলায় পুরো পাহাড়, সাদা রূপ ধরে ;
ধীরে ধীরে শুকায় পানি, যখন রোদ পড়ে ।
হাতে ছুঁয়ে সব আগন্তুক, মেঘ দেখতে চায়,
মেঘের ভেলার স্পর্শ পেয়ে, অনেক মজা পায়;
পাহাড় চূড়ায় মেঘ দেখে, বাড়ি ফিরে যায় ।


পৌষ শেষে সর্ষে ক্ষেতে, মৌমাছিরা ঘুরে,
পেতে রাখা মধু চাষির, কাঠের বাক্স দূরে ;
মৌমাছিরা মধু এনে, বাক্সের চাকে ভরে।
সর্ষে ফুল হাওয়ায় দোলে, ছড়িয়ে পড়ে ঘ্রাণ,
সর্ষে ফুলের সুবাস নিতে, কান্দে আমার প্রাণ ;
ফাগুন হাওয়ায় নিজ অন্তরে, বেজে উঠে গান।


আমি দেখেছি সাগর মুখে, তিন মোহনার জল,
স্রোতের পাকে ডুবে ভাসে, কচুরিপানার দল;
ধীরে চলে স্রোতের পাকে, জাহাজ চলাচল ।
সাগর জলের ইলিশ এসে, স্রোতে ডিম ছাড়ে,
ডিম ছেড়ে ইলিশ মাছ, সরে যায় দূরে ;
লাখো ডিম ফুটে ফুটে, ইলিশ মাছ বাড়ে ।


শিশু-কিশোর নাটাই হাতে, হাওয়ায় উড়ায় ঘুড়ি,
ঘুড়ির গায়ে হাওয়ার চাপে, আকাশে দেয় পাড়ি;
নাটাই সুতার টানের উপর, ঘুড়ির উড়াউড়ি ।
খেলাধুলায় স্কুল শিশুরা, দেখায় তাদের রূপ,
যেমন খুশি তেমন সাজে, কেউবা পড়ে গোঁফ ;
পুরস্কারটা হাতে নিয়ে, তবেই করে চুপ ।