দেখেছি পদ্মা মেঘনার প্রবল স্রোতের নমুনা,
একূল ভাঙ্গে ওকূল গড়ে কেমন করে যমুনা;
ভরা বর্ষায় ভাঙ্গা গড়াই পদ্মা নদীর ঠিকানা ।
বর্ষাকালের প্রবল স্রোতে ভাঙ্গে পদ্মার পাড়,
নদীর তীর বিলীন করে ভাসায় বাড়িঘর ;
বর্ষা শেষে শুকায় পানি, জাগায় বালুচর ।


হারায় বাড়ি হারায় ঘর নদীর চরে বাস,
চাষের জমি নদীর গর্ভে, চরেই করে চাষ;
নদীর চরেই সুখ দুঃখে থাকে বারোমাস।
বাঁশ কাঠের ঘর করে মাছ ধরে জলে,
বসত ভিটে হারিয়ে তাদের কষ্ট তিলে তিলে;
খেয়েদেয়ে বাঁচার সুযোগ অতি কষ্টেই মিলে।


ভাবনা জাগে কালবৈশাখী কেমন করে আসে,
প্রবল বেগে ঘূর্ণিপাকে ঘরবাড়ি দেয় পিষে;
বাউ বাতাসে বোরোধান মাটির সাথে মিশে ।
আমজনতা টের পায় শিলা বৃষ্টির ঠেলা,
জমির ফসল নষ্ট করে শিল পাথরে মেলা;
ফল পাতা ঝড়ে পড়ে, ভাঙ্গে মাটির চুলা ।


বজ্রপাতে মানুষ মরে খাল বিল চরে,
মানুষ যখন বর্ষাকালে কাজের জন্য ঘুরে;
পেটের দায়ে কাজে যায় ঘর থেকে দূরে ।
কেউ জানেনা বজ্রপাত কখন আসবে ধেয়ে,
বজ্র-বিদ্যুৎ সময় দেয় না, দেখবে তাকে চেয়ে;
চেষ্টা করার সুযোগ নাই হাতে সময় নিয়ে।


বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার জল জনদুর্ভোগ বাড়ায়,
ভাসিয়ে দিয়ে মাঠঘাট গ্রাম শহর ছড়ায়;
বাড়িঘর তলিয়ে দিয়ে সকল মানুষ তাড়ায়।
মালসামানা মাথায় নিয়ে পথে ঘাটে ঘুরে,
শুকনা স্থানে আশ্রয় নেয় পানি থেকে দূরে;
বন্যার জল নেমে গেলে ফিরে আসে নীড়ে।