আমি দেখেছি সূর্যোদয়, দেখেছি সূর্যাস্তের পর,
যখনি সন্ধ্যা নামে ধরায়, সাথে ঘোর অন্ধকার ;
রূপসী বাংলার রূপ ভুলে, নেই রাস্তা পালাবার।
অনন্ত অসীম রূপ তোমার, তোমারই নীলিমার,
যখনি হয় সন্ধ্যা পার, থাকে শুধু হাহাকার;
দিনের আলো ঘুরে আসুক,কাটুক অন্ধকার।
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা, কানামাছি খেলে,
চারিধারে সব কাশফুল, সান্ধ্য হাওয়ায় দোলে;
প্রাণটা ভরে দেখে নিই, এই মনটা খুলে।
যতো মানুষ আছে জগতময়, জীবন ফুরিয়ে গেলে,
আজীবন সে যা পেয়েছে, দেখেছে দু'চোখ মেলে;
যেটুকু বাকি দেখা হয়নি, আফসোসে অন্তর ঠেলে।
এ দেশের সাগর নদী বন, কেনো এতো চঞ্চল,
পাকা ধানে বাতাসের ঢেউ, প্রাণে লাগে দোলাচল;
অনেক কিছু দেখার বাকি, তবু থাকি অবিচল।
আমি দেখি শিমুল বনে, কাক কোকিল চলাচল,
চারিদিকে হিমেল হওয়ায়, বাড়ন্ত বুকের বল;
শেষ বিকেলের মিষ্টি রোদে, শুধুই আলো ঝলমল।
ফাগুনে আসে আম্র মুকুল, ঝিরিঝিরি হাওয়া,
মৌ মৌ ঘ্রাণে করে, মৌমাছি আসা-যাওয়া ;
দেখে যাচ্ছি প্রাণ খুলে, এটাই পরম পাওয়া।
দখিনা হাওয়ায় ভাসে সুর, প্রতিদান হয় না দেয়া,
রাখাল যখন বাজায় বাঁশি, থাকে না কোনো চাওয়া;
প্রাণখুলে তখন শুনে নিই, এই গান গাওয়া।
এই বাংলার রক্তিম হাওয়ায়, জন্মেছি এই দেশে,
আছে যত সুখ দুঃখ, নিজ অন্তরে মিশে;
মাঠ ভরা ফসলের ঝলক, কৃষক ভাইয়ের চাষে।
গোলাপ জবা আরো যে ফুল, নিজ আঙ্গিনা ঘেষে,
বেলী বকুল ফুলের ঘ্রাণ, কিছু তো পাবো শেষে;
বাংলার বুকে যতদিন বাঁচি, যাবোই ভালোবেসে।