অঝোরে বৃষ্টির জন্য হাহাকার সৃষ্টি,
আকাশের দিকে সব মানুষের দৃষ্টি।
শ্রাবণ ফুরিয়ে গেলো জমিজমা কাঠ,
যে দিকেই চোখ যায় শুধু ধুধু মাঠ।
শষ্য ক্ষেতে হাঁটাহাঁটি করে দেখি কাক,
ঋতুর এ পরিবর্তন, এটা কোন বাঁক ?


সুখ গাঁথা পরিবেশ হলো এলোমেলো,
এটা কোন জমানায় এসে পৌঁছালো।
শ্রাবণেও ধান ক্ষেতে মাটি ফেটে চৌচির,
মেঘ নেই পানি নেই খোঁজ নেই বৃষ্টির।
অসহ্য গরম পড়ে হাঁটাচলাই দায়,
ঘরে বসে হা-হুতাশ সারাদিন যায়।


পাট ক্ষেত কেটে নিয়ে অপেক্ষাতে আছে,
বৃ্ষ্টি যেনো ধেয়ে এসে জলের ফোঁটা নাচে।
মগ্ন হয়ে বসে আছে হাতে ঢাকা মাথা,
একই দশা পাট চাষে কে ধরবে ছাতা ?
পাট গাছ এ সময়ে জলে ফেলে রাখে,
পঁচে গেলে পাট তুলে পৃথক করে তাকে।


কৃষকের মুখে দেখি আকালের ছায়া,
চেয়ে দেখে চোখ মুখে বেড়ে যায় মায়া।
আকাশ পানে তাকিয়ে হাহাকার ছুটে,
খাল বিল জলাশয়ে পানি নেই মোটে।
পানি নেই মাছ নেই সব আশা বাদ,
মাছ পেতো পানি হলে মনে কতো সাধ?


তবু আশা থেমে নেই গোঁ ধরেই আছে,
ঝড় বৃষ্টি মেঘ থেকে পানি পেলে বাঁচে।
ছিটে ফোঁটা মেঘ দেখে আশা জাগে মনে।
উপরে আকাশ পানে চায় ক্ষণে ক্ষণে।
কৃষকের মাথায় হাত আকাশেই দৃষ্টি,
আশা নিয়ে বসে আছে আসে যদি বৃষ্টি।