সুখের লগনে গগনে পাখি হাওয়া পদতল,
হাওর বাঁওড় পেরিয়ে দেখে নিচে কতো জল।
নদ-নদীর সীমানা ছাড়িয়ে দেখে বনভূমি,
তাকিয়ে দেখে আছে পদতলে সব জমাজমি।
কোথায় যাবে ঠিকানা খুঁজে উড়ে রোজরোজ,
সময়ে সময়ে ডাঙ্গায় নেমে করে ভুঁড়িভোজ।


শীতের দেশ পেরিয়ে করে উষ্ণাঞ্চল খোঁজ,
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল দেখে হয় ওদের বুঝ।
হাওয়া বেয়ে থামায় পাখা জলাশয়ে এসে,
আকাশ পানে চেয়ে জল গ্রহণ করে হেসে।
জলের উপর ভেসে ভেসে শ্রান্ত শান্ত হয়,
আশা পূরণ হলেও ভাবে না জয় পরাজয়।


উষ্ণ অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ায় সুখে দিন কাটে,
খাবার জন্যই কখনো দেখি যায় মাঠেঘাটে।
ভুঁড়িভোজটা শেষ হলেই ফিরে আসার ছলে,
দিনের শেষে জলেই ফিরে বিকেল সন্ধ্যা হলে।
দলে দলেই উড়তে উড়তে দলবদ্ধ থাকে,
সন্ধ্যার আগে জলে ফিরেও ছক বাঁধা রাখে।


অতিথি হয়ে আসে এদেশে আশ্রয়ের খোঁজে,
দলের দল জলের উপর সুখে চোখ বুজে।
জলের উপর সকল পাখি চুপচাপ ভাসা,
আশ্রয় অভয়াশ্রম বলে মিটে গেলো আশা।
অতিথির মতো থাকে জলে ত্যাক্ত বিরক্ত নাই,
লোলুপ দৃষ্টি ছাড়াই ওদের ভালোবেসে যাই।


মানবতার কথা ভেবেই পাখিগুলো দেখি,
লোক সমাজে শৃঙ্খলাবোধ ওদের কাছে শিখি।
সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে শৃঙ্খলাটা চাই,
সমাজে বেঁচে থাকার সূত্রটা ওদের কাছে পাই।
মানব সেবায় মনোনিবেশ করি যদি জারি,
সুস্থ সমাজ সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারি।