চৈত্র মাসে সূর্য কিরণ, পিঠের চামড়া পুড়ে,
খরতাপ সইতে গিয়ে, ছাতা মাথায় ধরে।
বয়ে চলে চৈতাল হাওয়া, বসন্তের এ রীতি,
মাঠে যায় মাথা ঢেকে, কৃষক ভাইয়ের ভীতি।
মাথার ঘাম পায়ে পড়ে, শরীর ঘেমে ঝরে,
বড় সাহেব আরাম পেতে, ঘরের এসি ছাড়ে।


গাছের পাতা ঝরে পড়ে, নেংটা দেখা যায়,
নতুন পাতা গজিয়ে উঠে, ঋতুর বৈঠা বায়।
কচি পাতা ডালে ডালে, যৌবন আসে ফিরে,
গাছের সুখ ফিরে আসে, কচি পাতা ঘিরে।
গোড়ায় বসে আরাম পায়, আরামদায়ক ছায়া,
ছায়ায় বসে বেড়ে যায়, গাছের প্রতি মায়া।


সারা বছর মাঘের শীত, এমন যদি হতো,
শীতে কেঁপে ছায়ার খবর, ধূসর হয়ে যেতো।
খরা ছাড়া ঝরা পাতা, পড়ার সুযোগ নাই,
গোসল ছাড়া শরীর ভর্তি, ময়লা দেখতে পাই।
মানুষ করে পানির গোসল, গাছের গোসল খরায়,
সাগর জলে সাইক্লোন উঠে, তীরে এসে ছড়ায়।


চড়া রোদে ছায়ার নিচে, রিকশাওয়ালাও থামে,
গায়ের জল মুছতে গিয়ে, গামছা ভিজে ঘামে।
সূর্য কিরণ চৈতাল হাওয়ায়, ডোবা-নালা শুকায়,
ডোবা-নালার পানি সেচে, শিং মাগুর টোকায়।
মাছ নিয়ে হাটে যায়, মাথায় নিয়ে পাতি,
সারা বছর বয়ে বেড়ায়, চৈতাল হাওয়ার স্মৃতি।


চৈত্র শেষে চৈতাল হাওয়া, বিদায় নেয়ার পালা,
সারা বছর স্মরণ থাকবে, এটার কেমন জ্বালা।
মাঠে ঘাটে ফুলের সুবাস, ভালো দিকও আছে,
সারাটা দিন সর্ষে ক্ষেতে, মৌমাছিরা নাচে।
মৌমাছির দল ফুল থেকে, মধু সঞ্চয় করে,
চৈতাল হাওয়ায় মধু চাষী, মধু তোলে ঘরে।