ছোট আজ বিয়ের দিনে, কোন কথা কয় না,
তার নাই লোভ লালসা, নাই যে কোন বায়না।
যার কোন বায়না নাই, সে আর বলবে কি?
তার কাছে সব-ই সমান, পান্তা ভাত ও ঘি।
ডেকে আসলে চেয়ে থাকে, কোন কথা নাই,
বসে আছে বধূ সেজে, নীরব দেখতে পাই।


পাড়া পড়শী দেখে যায়, মিষ্টি কথা বলে,
মিষ্টি খেয়ে দোয়া করে, বসে দু'হাত তোলে।
দাদী এসে সিঁথি কাটে, ছুঁয়ে মাথার কেশ,
খাটের কোণায় বসে কন্যা, মাথা ঠাণ্ডা বেশ।
নাকের নোলক নাকে ঝুলে, কানে ঝুলে দুল,
দূর থেকেই চোখে পড়ে, লাল শাড়িতে ফুল।


এমন দিনে কে ফুটাবে, ছোটর মুখে হাসি,
বরের জন্য ধরে রাখছে, কেনো করবে বাসি?
মুখ ফুটে বলে না সে, কেমন বর চাই,
আমরা তখন ভয়ের মধ্যে, ধুঁকে ধুঁকে যাই।
বিয়ের বাদ্য কানে এলো, হাসলো এবার ছোট,
ঘরের লোকের মান-সম্মান, কেনো করবে খাটো?


বাড়ি জুড়ে বিয়ের বাদ্যে, খুশির জোয়ার আসে,
ঘরের ভেতর বর এসে, দাঁড়ায় ছোটর পাশে।
ছোটর মুখের মলিন ছাপ, বিলীন হয়ে যায়,
সবার চোখ ফিরিয়ে নিয়ে, একটু সুযোগ দেয়।
বর কনের ভাব বিনিময়, করে ইশারায়,
হৃদয় কোণে খুশির বীজ, কাছে দেখতে পায়।


হাসি খুশি বরের সাথে, ছোটও তখন হাসে,
দেহ-মনের সকল ক্লান্তি, এক জায়গাতে মিশে।
হাতে হাত রেখে ছোট, বরের সাথে হাঁটে,
ছোট আছে শ্বশুর বাড়ি,  বসে পুকুর ঘাটে।
সকাল বিকাল ছোট দেখে, পুকুর জলে ছায়া,
মন-প্রাণ জুড়িয়ে দিল, শ্বশুর বাড়ির মায়া।