ধেয়ে আসা বসন্তের ছোঁয়া লেগে গায়,
মনে প্রাণে গোলাপের ছবি এঁকে যায়।
ফাগুনের শিখা হাতে ব্যস্ত বনমালী,
ফুলে ফুলে ভরে দিতে খুঁজা শুরু ডালি।


কুঁড়ি মুখে অলি এসে ঘুরে ঘুরে যায়,
অনাগত বসন্তের সুবাতাস পায়।
বনমালী চেয়ে দেখে মিটিমিটি হাসে,
কুঁড়ি দেখা অলিগুলো তাকে ভালোবাসে।


টুকটুকে রক্ত জবার কুঁড়িগুলো দুলে,
বসন্তে ভরে যাবে ঝুমকো জবা ফুলে।
অলি এসে কুঁড়ি দেখে মনানন্দে নাচে,
বসন্তের ছোঁয়া পেতে ঘুরে গাছে গাছে।


গুনগুন সুর তুলে অলি উড়ে চলে,
বনমালী জল দিতে কানে কানে বলে।
জল পেয়ে চারা গাছে ফুলকলি ফুটে,
বসন্তের আগমনে সুবাতাস ছুটে।


এই বুঝি হলো শুরু বসন্তের গান,
দল বেঁধে তরুণীরা হবে আগুয়ান।
নেচে গেয়ে বসন্তের সুর তুলে দেবে,
ঝুমঝুম সুর তুলে প্রাণ কেড়ে নেবে।


শোভাময় বীথিগুলো হবে লাল নীল,
মন হবে প্রীতিময় সুর গতিশীল।
ডালে ডালে নেচে যাবে টিয়া কাকাতুয়া,
মন প্রাণ ফিরে পাবে গোলাপের ছোঁয়া।