দিনরাত ঝরে পড়ে ঝর্ণার জল,
তার পাশে দিনরাত নেই কোলাহল।
কোথা থেকে আসে পানি রাতদিন ভাবি,
ঝরে ঝরে রাতদিন পড়ে যায় সবই।
হাম হাম ঝর্ণা করে সদা তার গান,
আসলে তো গান নয়, এটা তার মান।


নামে ঢল ঝরে যায় নেই অভিমান,
যত জল তত ঝরে সমানে সমান।
পাহাড়ের উঁচু গায়ে যত জল পড়ে,
তার গায়ে ঝর্ণা বেয়ে তত জল ঝরে।


পাহাড়ের খাড়া গায়ে গাছপালায় ভরা,
উঁচু মাথা পাহাড়ের নিচ থেকে খাড়া।
মেঘ এসে তার গায়ে ধাক্কা দিয়ে যায়,
ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে পাহাড়ের গায়।
ঢল নামা এতো জল কিভাবে তা ধরে,
খাড়া বলে সব জল নিচে এসে পড়ে।


দ্রুত বেগে উঁচু থেকে নিচে পড়ে পানি,
নিচে পড়ে ভিজে যায় তার আঁচলখানি।
পানি সব নিচে পড়ে ঝিরি বেয়ে যায়,
নিচে এসে ঝিরিপথে ঠিকানাটা পায়।


হাম হাম ঝর্ণা দেখে ভরে উঠে মন,
কষ্ট করে যাঁরা যায় থাকে সারাক্ষণ।
মন ভরে সুখ নিতে নেমে যায় জলে,
ঝিরি মুখে জলে নামে সুখ নেবে বলে।
যাঁরা যায় তাঁরা বুঝে কত ভালো লাগে,
নাচানাচি যত করে আরো সাধ জাগে।


স্বচ্ছ জল ঝরে পড়ে ঝর্ণা থেকে ঝিরি,
রূপে পাগল আগন্তুকরা নামে তড়িঘড়ি।
ঝর্ণা দেখে রূপ রস প্রাণ ভরে নেয়,
গা-গোসল সব সেরে ভিজে বাড়ি যায়।