জাত পাত ভুলে গিয়ে জলে নেমে হাসে,
চামার না কুলাঙ্গার চেহারায়ও ভাসে।
কটরমটর পড়াশোনায় জাতে উঠে যায়,
জাতে উঠে পরের বাড়ির ঘি-টা তুলে খায়।
যা তার পেটে সয় না এটা বুঝে পরে,
বাথরুমে যেতে চেয়ে হাতে পায়ে ধরে।


অসংলগ্ন আচরণে সবার হাসি পায়,
তাকে যদি আটক করে দরজা ভেঙে যায়।
জামাকাপড় খুলে রাখে উদলা করে ছাড়ে,
মাপ চায় করজোড়ে সবার দ্বারে দ্বারে।
তার লেজে টান পড়লে করজোড়েই ঘুরে,
পোলাপানেও টেনে নেয় তিন রাস্থার মোড়ে।


গরম মাথা শরম ছাড়া খাড়া করে রাখে,
লজ্জাশরম পায়ে ঠেলে বকে যাকে তাকে।
রাজপ্রাসাদ তার নিজের মনে মনে ভাবে,
জুতা পিটা গায়ে পড়লে থেমে যায় তবে।
বেশরম বদজাতটা তবুও বকে যায়,
লাত্থিগুতা যতো খায় ততো শান্তি পায়।


কলিকালে এমন লোকে সমাজ ভরে যাচ্ছে,
এদের জ্বালায় ভদ্রলোক সবাই কষ্ট পাচ্ছে।
তা ঠেকাতে সময় থাকতে ধাওয়া করা চাই,
সবে মিলে কানটা ধরে সোজা করে যাই।
এই সমাজে এরা যেনো জ্বলে পুড়ে মরে,
কানটা ধরে ধাক্কা দেই কেমনে দেখি ঘুরে।


ধাক্কা দিলে খালি ঢোল পটর পটর করে,
মুঠি ধরে থাপড়া দিলে পায়ে এসে পড়ে।
উল্টো করে পিষে গেলেও এদের লজ্জা নাই,
পরের পাতে খাবার দেখে করে খাই খাই।
পেটে দিলে গায়ে সয় পিষে তবে চলো,
পিষে গেলেও ওরা বলে এমনটা কি হলো।


ভদ্রতা আর চক্ষু লজ্জা শুধু দেখে যায়,
পায়ে ঠেলে লজ্জাবোধ  ভিক্ষা করে খায়।
পরের হাতে ধাক্কা খেলে কিছু কাজে আসে,
পথে ঘাটে এদের দেখে নর্দমারাও হাসে।
কানমলায় শিক্ষা পেলে তাতে ক্ষতি কি?
শিক্ষা দিতে কানটা মলে মুখে ঢালো ঘি।