প্রথম দেখায় মৃত লোকের, পরিচয় জানতে চায়,
কবর বলে ওখানে দাঁড়িয়েই, পরিচয় দিয়ে আয়।
লাশ বলে বাদশাহ ছিলাম, শাসন করেছি বিশ্ব,
রাগত স্বরে কথা বলেনি, আমার কোনো শিষ্য।
কবর চেনে না রাজা বাদশাহ, আমল জানতে চায়,
অহংকারী বাদশাহ হলেও, মুগুর পিটুনি খায় ।

তিল পরিমাণ অহংকার, যার অন্তরে আছে,
মুগুর পিটায় হাড় হাড্ডি, গুঁড়িয়ে যাবে নিচে।
মুগুর পিটুনি চলতে থাকবে, হাজার বছর ধরে,
যতদিন না দাঁড়াতে হবে, রোজ কেয়ামত প্রান্তরে।
এবাদত বন্দেগি যত করো, অহংকারেই শূল,
হাতে কলমে প্রমাণ হবে, এটাই পতনের মূল।


সময় থাকতে রাস্তা মাপো, অহংকারটা ছাড়ো,
মুগুর পিটুনি এড়াতে হলে, ন্যায়ের পথ ধরো ।
এ মুগুর তো সে মুগুর নয়, আগুন দিয়ে তৈরি,
আত্ম অহংকারে ডুবে থাকা, রাজা বাদশাহও বৈরী।
অহংকারী সমাজ সেবক, কাউকেই ছাড়ে না,
নিরহংকারী ন্যায়ের পথিক, কাউকে মারে না।


নিজের খেয়ে গায়ে পড়ে, পণ্ডিতি করো না,
কবরের কথা মাথায় রেখে, চড়াও হয়ো না ।
দিন দুনিয়ার পণ্ডিতগিরির, কবরেই ঠিকানা,
পণ্ডিতগিরি আত্ম অহংকার, কাজে আসবে না।
নেড়ির মাথায় হামাগুড়ি, কিছুই মানবে না,
কোটি লোকের সামনে দেবে, হিসাব ষোল আনা।


নেড়ি যখন ন্যায়ের পথিক, আত্ম অহংকার নাই,
অহংকারীর চুলের মাথা, পুড়ে করবে ছাই।
হাড় হাড্ডি পিষে যাবে, মুগুর পিটুনি খেয়ে,
একটুখানি সোজা হবে, মুগুর আসবে ধেয়ে ।
চেলা চামচা যতো আছে, সবাই সাথে যাবে,
এক সারিতে ঠায় দাঁড়িয়ে, মুগুর পিটুনিই খাবে।