নাড়ির টানে বাড়ি গেলে কতো ভালো লাগে,
ফেলে আসা দিনগুলোর বহু স্মৃতি জাগে।
আছে যতো পাড়া পড়শী সবই মনে পড়ে,
অতীত স্মৃতি মনে হলে চোখে জল ঝরে।
ঘর বাড়ি পুকুর ঘাট যেমন ছিলো আছে,
ছোট বেলার সব স্মৃতি হৃদয় কোণে নাচে।


ব্যস্ত সময় পার করি বাড়ি যাওয়া হয় না,
সকল স্মৃতি ভেসে উঠে খোলা মনের আয়না।
বাড়ির পাশের গাছগুলি ছিলো খেলার সাথী,
সেই স্মৃতি মনে হলে মন আনন্দে মাতি।
ছোট বেলায় সাতার কেটে পুকুর পারাপার,
এসব স্মৃতি ধরে রাখতে খোলা মনের দ্বার।


পুকুর ঘাটে বড়শী বেয়ে জলের মাছ ধরা,
বসে যেতাম ছাতা মাথায় যখন হতো খরা।
দক্ষিণ পাড়ের বড়ুই গাছ বাড়ি গেলে ডাকে,
এ গাছের শাখায় বসে কা  কা  করে কাকে।
পুকুর পাড়ে জলের ধারে টাকি মাছের পোনা,
দেখে তখন মনে হতো মনি মুক্তা সোনা।


বাড়ির পিছে তাল গাছে কতো তাল ধরে,
কাঁচা তাল পেকে গিয়ে ভাদ্রে তাল পড়ে।
কতো তালই জমা হতো কুড়িয়ে এনে ঘরে,
পাকা তাল জমা হতো বাসন কুশন ভরে।
তাল গাছটা যেমন ছিলো টায় দাঁড়িয়ে আছে,
দূরে থেকে গাছের কাছে আমি হলাম মিছে।


ঘরের পাশে কাঁঠাল গাছে কতো কাঁঠাল ধরে,
এখন থাকে খালি বাড়ি পেকে কাঁঠাল পড়ে।
বাঁশ ঝাড়ে ডেউয়া গাছে ডাহুক পাখি ডাকে,
ডেউয়া গাছের শাখায় বসে পদচিহ্ন রাখে ।
আরো যেসব স্মৃতি আছে মাথায় বনবন,
একটা একটা মনে আসলে পাগল হয় মন।