সৃষ্টি জগতে দেখি শুধু নিয়তির খেলা,
ভাঙ্গা আর গড়ায় কাটে মানুষের বেলা।
সৃষ্টিকর্তার ইশারায় কারো ভাগ্য গড়ে,
নিয়তির দোলাচলেই কেউ পুড়ে মরে।
ভালো কাজে আসে সুখ, মন্দতে পিষে,
নিয়তির ডামাডোলেই ভরে উঠে বিষে।


দিকে দিকে কতোই দেখি, যত মানুষ হাসে,
নিয়তি তাঁর ভালো বলে সুখ আনন্দে ভাসে।
পাশেই আছে আরো কত দুঃখী লোকের বাস,
সরাতে পারে না কিছুতেই কষ্টের নির্যাস ।
ভেবে কোনো কিনারা নেই কেনো এমন হয়,
বেশি ভাবলে পেয়ে বসে নিয়তির ভয়।


যাঁর নিয়তি যত ভালো, চারিদিকে আলো,
যে নিয়তির রোষানলে, সব সাদাকালো ।
অনেক অর্থ ব্যয় করে বহুতল গড়ে,
ভূকম্পনে সব হারিয়ে দুর্যোগে পড়ে ।
প্লাবনে যে পাকা ধান মই দিয়ে যায়,
মাঠ আবারো ভরে উঠে, নিয়তিই ফিরায়।


ভালো খেলেও পায় না গোল, ভোগে হতাশায়,
পরাজয় মেনে নিয়েই বাড়ি ফিরে যায় ।
মন্দ খেলেও গোল পায়, নিয়তির খেলা,
হারা খেলায় জিতে গিয়ে লাগে প্রাণে দোলা।
গন্তব্যে পৌঁছাবে জাহাজ, কেমন করে বলো?
নিয়তিকে সাথে নিয়েই, স্রোত দেখে চলো।


সব দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা, কেনো যাও ভুলে?
আত্মবিশ্বাসটা তুলে রাখো নিয়তির কোলে।
শক্তভাবে নিয়তির প্রতি বিশ্বাসটা রাখো,
যে করে দান তাঁকে তুমি প্রাণ ভরে ডাকো।
বিশ্বাসে ফিরায় যে বস্তু, নিঃশ্বাসেই তা শেষ,
মেনে নিতে হবে তোমার নিয়তির সমাবেশ।