লোকে যাকে মন্দ বলে ভালো সেতো নয়,
কথায় যদি কথা বাড়ে জানাজানি হয় ।
সারা গায়ে পোকা ঢুকে তারপর বুঝে,
পিঁপড়ারা দেখে যায় আসে প্রতি রোজে।
অতিক্ষুদ্র পিঁপড়ারাও লাইন ধরে ছুটে,
চুলকানোর ভাব বুঝে ওদের খানা জুটে।


পিঁপড়াও বুঝে ফেলে আছে কোন শোকে,
পেট ভরে খেয়ে যায় নিয়ে যায় মুখে।
নিজে তখন হয়ে উঠে পিঁপড়ার খাবার,
উপহাসের পাত্র হয়ে খেয়ে যায় দাবাড়।
পিঁপড়ার অত্যাচারেই হয়ে উঠে অতিষ্ঠ,
লোকসমাজে সে তখন সবচেয়ে নিকৃষ্ট।


পণ্ডিতগীরির অবস্থাটা এমন যদি হয়,
আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পড়ে কিভাবে তা সয়?
এ অবস্থায় তাকে দেখে ভিখারিও হাসে,
কুল মান সব হারিয়ে শোক সাগরে ভাসে।
অসময়ে দিন রাত কেঁদে কেঁদে যায়,
ততোক্ষণে বুঝে উঠে ঠিকানা কোথায়?


বসে বসে পিঁপড়া দেখে দল বেঁধে আসে,
দেখতে পায় শর্ষে ফুল তার চোখে ভাসে।
জনগণ তাকে দেখেই উপহাস করে,
সব স্বজন দূরে যায় তাকে ছেড়েছূড়ে।
ততোদিনে হয়ে উঠে পরিনামটা জানা,
ক্রমান্বয়ে হয়ে উঠে চোখ থাকতে কানা।


আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে চেতনাটা হারায়,
পিঁপড়া তাকে খেয়ে খেয়ে মাটি জুড়ে ছড়ায়।
কীটপতঙ্গের খাবারে মোড়লগীরি শেষ,
এটা দেখে হেঁসে হেঁসে লোকে বলে বেশ।
পৃথিবীতে রেখে যায় অমানুষের স্মৃতি,
লোকমুখে ছড়িয়ে থাকে যুগ যুগ ভীতি।