প্রতিহিংসার ব্যাধি কেনো তোমার মন জুড়ে?
মনের ভেতর ব্যাধি নিয়ে থাকো কেমন করে?
প্রতিহিংসা মহা পাপ এটা কি তুমি বুঝো?
বেদনাটা মাথায় নিয়ে কাকে তুমি খোঁজো?
এটা তোমার মরণ ব্যাধি স্মরণ করে যাও,
সৃষ্টিকর্তার কৃপা পেতেই পানাহ্ তুমি চাও।


এই ব্যাধি তো এমন ব্যাধি জ্বলে শুধু নিভে না,
বছর ধরে জ্বলে চলে তার তো নেই ঠিকানা।
যদি তুমি বাঁচতে চাও এই অভ্যাসটা ছাড়ো,
যে জীবনে হিংসা নেই সে জীবনটা গড়ো।
তুমি কি চাও জগৎ মুখে তুমিই শুধু থাকো,
প্রতিহিংসার এমন ব্যাধি কেমন করে রাখো?


পাপী তুমি গোনার জলে আর দিও না ডুব,
টানে উঠে ধুয়ে মুছে ঝেড়ে ফেলো ক্ষোভ।
হিংসাটাকে ধ্বংস করো তাতে আছে মুক্তি,
আমজনতা কাছে টেনেই করে নাও চুক্তি।
প্রতিহিংসা দূর করতে ছাটাই করো কেশ,
তখন তুমি দেখতে পাবে আছো তুমি বেশ।


লোক সমাজে খোঁচা মেরে তুমি শুধু জ্বালাও,
হাতির শূঁড়ে লাঠি দেখে দৌড়ে দেখি পালাও।
হিংসুটেদের এই অবস্থা স্বভাব গুণেই হয়,
ভেবে নেবো তোমার কি নাই জন্ম পরিচয়?
কলি কালের এ চন্দ্রালোকে যদি এটাই হয়,
সঠিক পথে ফিরে আসতে কিসে তোমার ভয়?


আচরণটা ঠিক করে নাও সবই ঠিক হবে,
এটা যদি করতে পারো বাঁচবে তবে ভবে।
আকাশ ভরা তাঁরা দেখো পাশাপাশি থাকে,
ভারসাম্যটা রক্ষা করতে দূরত্বটাও রাখে।
তাই তো বলি মনের জ্বালা সবটা ঝেড়ে ফলো,
নয়ন ভরে দেখতে পাবে ভালো দিনটা এলো।


জলে ভাসা পদ্ম ফুলও জলে যখন ভাসে,
পানির তোড়ে ভেসে গিয়েও মিটমিটিয়ে হাসে।
এ অবস্থায় হাসির কারণ গোড়ায় লাগে টান,
পানির তোড়ে চেপে গেলেও ধরে রাখে মান।
এই দুনিয়ার চারিদিকে চোখটা খুলে দেখো,
বাঁচতে হলে হিংসা ছেড়ে দেখে কিছু শেখো।