চিরল পাতার সরু গাছে লাল হলুদ ফুল,
হৃদয় নাচে মন নাচায় রাধাচূড়ার দোল।
জ্যৈষ্ঠ মাসে রাধাচূড়ায় রাস্তা ছেয়ে যায়,
রাধাচূড়ায় বায়ুমণ্ডল নির্মলতা পায়।
নির্মল বায়ু গ্রহণ করি হৃদয় মন খুলে,
যখন দেখি রাধাচূড়া বাতাস লেগে দোলে।


রাধাচূড়ার দোল দেখে জেগে উঠে গান,
মৃদু হাওয়ায় সুরে সুরে জাগে মনপ্রাণ।
লাল হলুদ কমলা ফুল পথে ঘাটেই দেখি,
চিরল পাতা উড়ে চলে শুধু চেয়ে থাকি।


ছোট উদ্ভিদ রাধাচূড়া সড়ক দ্বীপে থাকে,
টবে করে অনেক মানুষ বারান্দায়ও রাখে।
রাধাচূড়া লাল হলুদ কমলা রঙ ধরে,
রঙের গুণেই রাধাচূড়া সবার ঘরে ঘরে।
ছোট বড় সবাই করে রাধাচূড়ার কদর,
কৃষ্ণচূড়ার ছোট ভাই রাধাচূড়ার আদর।


রাধাচূড়ার ফুল মঞ্জুরি উপর দিকে উঠে,
প্যাগোডার রূপ ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছুটে।
উপর দিকে চিকন সরু পাতার উপর মাথা,
পাতার উপর মনে হয় প্যাগোডার ছাতা।


ফুলের নিচে চিরল পাতা ঝিরিঝিরি উড়ে,
ফুলের দিকে দৃষ্টি যায় যখন খানিক দূরে।
ছাঁদ বারান্দায় রাধাচূড়া হাওয়ায় দোল খায়,
চিরল পাতা বাহারি ফুল মন রাঙিয়ে যায়।
রাধাচূড়া ফুল এসে অনেক দিন থাকে,
রঙের গুণেই স্থান পায় হৃদয় মনের বাঁকে।


সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন আমরা যদি চাই,
জীবন মানের এই রসদ রাধাচূড়ায় পাই।
গ্রীষ্ম শেষে বর্ষাকালেও আমরা ভালো থাকি,
ঘরের পাশে টবে পুষে রাধাচূড়া রাখি।