যুদ্ধের পর গড়ে তুলতে পঞ্চাশ বছর গেলো,
সুখী সুন্দর স্বাধীন বাংলা এই প্রজন্ম পেলো।
যারা ছিলো রাজাকার
তাদের বাচ্চা কুলাঙ্গার
কুলাঙ্গারদের বাচ্চারাই কম্বল চোর ছিলো।


কুলাঙ্গারের মুখের বুলি করলো একাকার,
মুখের বুলি প্রমাণ করে কোনটা কুলাঙ্গার।
লোক সমাজে ঠেলাধাক্কা
চুরির কাজে পুরো পাক্কা
চরিত্রটা ভালো হলে ভাবতো আরেকবার।


চোরের দল মুখের বুলি ছাড়ে কথার ছলে,
যখন তখন যারে তারে দেশদ্রোহী বলে।
বুলি ছেড়েই ধরা খেলো
রাজাকার প্রমাণ হলো
ফাঁসির কাষ্ঠে উবে গেলো বাঁচার চেষ্টা জলে।


চোরছেঁচড়া চলাফেরায় ভাবে সবাই চোর,
চুরির চিন্তায় মগ্ন থাকে দিবা নিশি ভোর।
সুযোগ পেলে করে চুরি
চুরির মালে বাহাদুরি
তার সমাজে সবাই জানে সে যে হারামখোর।


নিজের ঢোল নিজে পেটায় ধরা কলসি ফাঁকা,
ধরতো যদি ভরা কলসি থাকতো আঁকাবাঁকা।
যারে তারে বকে যায়
জনরোষে থাপ্পর খায়
ঘরের কথা পরের কাছে ধুতরা পাতায় মাখা।


ভদ্র বেশে সেই কুলাঙ্গার যে কয়েকটা আছে,
সুযোগ পেলে দল বেঁধে খ্যামটা তালে নাচে।
ভাবিসনারে কুলাঙ্গার
সুযোগ নাই আর বাঁচার
এই প্রজন্ম উল্টো করে বাঁধবে এবার গাছে।


স্বাধীন জাতি মনের কথা জানায় পরস্পর,
বীর বাঙালী এখন আর চায় না নিশাচর।
একটা একটা খোঁজ করে
ঢুকবে তাদের ঘরে ঘরে
রাজাকার আর কুলাঙ্গারদের করবে দিগম্বর।