সাগরকন্যা কুয়াকাটা দৈনিক ডেকে যায়,
বেলাভূমির রঙ পেতে আয়রে তোরা আয়।
সূর্যোদয় সাগর জলে তারই বুক চিড়ে,
সূর্যাস্তও ঘটে থাকে জলেই ধীরে ধীরে।
সাগর জল ফাঁকা করে এ কোন লালিমায়,
সূর্য যখন উঁকি মারে পরাণ চলে যায়।


সন্ধ্যা সাঁঝে সাগর জলে সূর্যটা হেলে পড়ে,
সাঁঝ আকাশে সাদা মেঘ লালচে রূপ ধরে।
সাগরকন্যার এই রূপ সবচেয়ে বেশি দামী,
রূপ লাবণ্যে ছেয়ে যায় সারা আকাশ জমি।
সবার মনেই জেগে উঠে মেঘকন্যার রূপ,
গায়ে মাখা রূপটা পেয়ে সাগরকন্যা চুপ।


রোজ বিকেলে চেয়ে থাকে ফাতরার বন,
সাগরকন্যার রূপ দেখে করবে শন্ শন্।
সুন্দরবনের বৈশিষ্ট্যটা এই বনেতে আছে,
এই বনের পশ্চিম তীরে হিংস্র প্রাণী নাচে।
মোরগ বানর পশুপাখি সরব দেখা যায়,
সারি বেঁধে ওরা সবাই রূপের গান গায়।


কুয়াকাটা শুঁটকি পল্লী এ জগতে বিখ্যাত,
সুনাম নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রোদ বর্ষায় অক্ষত।
কম দামে ভালো মানের শুঁটকি নিয়ে দাঁড়িয়ে,
হাতে হাতেই চলে যায় সব সীমা ছাড়িয়ে।
দাম দর ও গুণেমানেই কদর তার বেশি,
খুব সহজে পেয়ে যাই শুঁটকি নিজ দেশি।


গভীর রাতে সাগর জল পাগল ডাক ডাকে,
ভ্রমণকারী তা না দেখে কেমন করে থাকে।
পরিবেশটা গভীর রাতে নীরব হয়ে যায়,
পাগল ডাক সাগর তীরে রুমে বসেও পায়।
কোয়াকাটার সাগরকন্যা হাজার চাপ সয়,
সকাল সন্ধ্যা সারা বছর লোকারণ্যই রয়।