দিনে দিনে মানুষ গড়ে উন্নয়নের সোপান,
সৃষ্টিকর্তা সামনে ধরেন প্রাকৃতিক দর্শন।
সেন্টমার্টিনে ভেসে যাই বুকে ধারণ করি,
মনের সুখে সাগর জলে কতই গড়াগড়ি।
সেন্টমার্টিনের অন্য ভাই হাত নেড়ে ডাকছে,
বিপুল রত্ন চর বিজয়ে সৃষ্টিকর্তা রাখছে ।


সাগরকন্যা কুয়াকাটায় এমন আবিষ্কার,
জনমানব শূন্য থাকায় পানিও পরিষ্কার।
কুয়াকাটা সাগরকন্যার ত্রিশ কিলো দূরে,
পাখি ও  লাল কাঁকড়ার লালগালিচা পড়ে।
পাখির মেলা, লাল কাঁকড়া দৃষ্টি কেড়ে নেয়,
স্বচ্ছ জলে মাছের সারি মনের শান্তি দেয়।


নানা রঙের পাখির দল স্বাগত ধ্বনি তুলে,
লাখো লাখো লাল কাঁকড়া লালগালিচা খুলে।
বিজয়ের মাসে আবিষ্কার তাই তো চর বিজয়,
বুঝেশুনে সরকারি ভাবে এ নামকরণ হয়।
চর বিজয় আমাদের জন্য সৃষ্টিকর্তার দান,
সুরে সুরে ছন্দে মুখর পাখিদের কলতান।


লাল কাঁকড়ার বিচরণ দশ কিলো এ চরে,
লালে লাল সব কাঁকড়া সারা চরেই ঘুরে।
লাখো পাখি লাখো কাঁকড়া চর দখলে রাখে,
স্বচ্ছ জলে মাছের মেলা চরের বাঁকে বাঁকে।
সাগর জল পাড়ি দিয়ে যাবে একটু দূরে,
সাগরকন্যার মূল অনুভব পাবে এই চরে।


দেশের প্রতীক লালসবুজ হাওয়ায় নড়েচড়ে,
স্বাধীন দেশের পতাকাটা চর বিজয়ে উড়ে।
একবার যদি দ্বীপে যাও পাগল হবে মন,
লাল কাঁকড়া, পাখির সাথে থাকবে সারাক্ষণ।
আশেপাশের মাছও এসে তোমার সাথী হবে,
মন থেকে হারিয়ে যাবে ফিরে আসবে কবে ?