আঁকা বাঁকা নদীর পথে, ডিঙ্গি নৌকা ঘুরে,
লুসাই কন্যা বাজায় বাঁশি, লুসাই সুরে সুরে।
মন মাতানো বাঁশির সুরে, পাগল হবে মন,
পাগল হবে সব আগন্তুক, পাগল জনগণ।
পাহাড় চিরে বয়ে গেছে, কাচালং মাচালং নদী,
অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবে, ফেরাও চোখ যদি।


সাজেক ভ্যালির পূর্ব ধারে, লুসাই গোষ্ঠীর সুর,
মিজোরামের লুসাই পাহাড়, এইতো অনতিদূর।
কংলাক পাহাড় দেখতে পাবে, ৩০০০ ফুট উঁচু,
মেঘকন্যা গায়ে মেখে, দেখবে উঁচু নিচু।
চাঁদনী রাতের জোছনা দেখবে, গাছের ফাঁকে গায়ে,
শিহরণ জাগে ভরা পূর্ণিমায়, হেঁটে পায়ে পায়ে।


সূর্য উদয় দেখবে তুমি, যেখান থেকে দাঁড়িয়ে,
সূর্য তথায় অস্ত যায়, মেঘের ভেলা ছাড়িয়ে।
সাঁঝ আকাশের সাদা মেঘ, যাবে অন্তর নাড়িয়ে,
মেঘের ভেলা হাতে ছুঁয়ে, যাবেই তুমি হারিয়ে।
সবুজ বনের গায়ে দেখবে, মেঘকন্যাকে ছুঁয়ে,
হাত নেড়ে ডাকবে তোমায়, তোমার হৃদয় ধুয়ে।


ঢেউ খেলানো সবুজ পাহাড়, ঐ পাহাড়ের গায়ে,
যখন তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে, মেঘ ধরা দেয় পায়ে।
স্বপ্নের রাজ্য মেঘের রাজ্য, সবই বলা যায়,
সারি সারি মেঘের ভেলা, করে খেলা পায়।
সবুজ বনে ঘেরা পাহাড়, উঁচু নিচু ঢেউ,
সাজেক ছাড়া আর পাবে না, অন্য কোথাও কেউ।


পাহাড় চূড়ায় শক্ত বাতাস, পাবে না কোথাও আর,
নাড়িয়ে দেবে তোমার মন, যাবে তুমি বারবার।
সাজেকের জন্যই কাঁদে মন, কাঁদে মন প্রাণ,
ভেলায় ভাসে রূপের তরী, বেজে উঠে গান।
দাঁড়িয়ে আছে সাজেক ভ্যালি, কেনো যাবে দূর?
সাজেক ভ্যালি প্রাণে বাজে, ভেসে উঠে সুর।