পদ্মা নদীর উভয় পাড় পূর্ব পশ্চিম একাকার,
দূরের মানুষ উড়ে যায় নেই কোন দেনদরবার।
গাড়িগুলো ধেয়ে যায়
ঢেউয়েরা চোখ রাঙায়
কয়েক ঘন্টার রাস্তা এখন ছয় মিনিটেই পার।
আর পাবো না এমন ছবি গাড়ির সারি অপেক্ষায়,
গাড়ির সিটে ঘুমিয়ে নেবে যতক্ষণ না ফেরি পায়।
ফেরির জন্য দিন গেলো
কত রোগীই লাশ হলো
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফেরির তালা বন্ধ পায়।
খরস্রোতা পদ্মার ঢেউয়ে ভয়ের দিন শেষ হলো,
সেতু গড়ে পদ্মার উপর উভয় তীর কাছে নিলো।
এপাড় ওপাড় ডানা মেলে
জলের ঢেউ নিচে ফেলে
পদ্মাসেতু যাত্রীমনের ভয়ের দিন বিদায় দিলো।
স্রোতের জল হুঙ্কার দেয় লাল নীল বাতি দেখে,
স্রোত যায় সেতুর নিচে খুঁটির ধাক্কায় এঁকেবেঁকে।
. খুঁটির গায়ে ধাক্কা খায়
স্রোতের গতি ঘুরে যায়
হুঙ্কার ছুড়ে গতিটা ঘুরে খুঁটির গায়ে বল খাটায়।
উভয় পাড়ের সব বাসিন্দা সেতু হওয়ায় হয় খুশি,
পদ্মা সেতুর দূরে যারা তাদের মুখেও খুব হাসি।
দ্রুত হবে সেতু পার
এই সুবিধা যার যার
কৃষি পণ্যের সঠিক মূল্য পাবেই এখন সব চাষি।
ঠায় দাঁড়িয়ে পদ্মাসেতু সকল কষ্ট গিলে খাবে,
যাতায়াতের এই সুবিধা সারা দেশে সমান যাবে।
সব সময় তাজা পাবে
কাঁচা মাল দ্রুত যাবে
উভয় তীরের সব বাসিন্দা ফলাফলটা দ্রুত পাবে।