এ জগতের মানব জীবন, স্বপ্ন দিয়ে শুরু,
ক্ষণস্থায়ী জীবন হয়, সুখ দুঃখে পুরো।
সারা জীবন পাড়ি দেয়, সুখ সুখ করে,
সুখের পিছে যতোই ঘুরে, সুখ থাকে দূরে।
জীবনভর খেটেখুটে, গায়ের রক্ত ঝরে,
সুখের কোন আকার নাই, পাবে কেমন করে?


যাঁর যত অর্থ আছে, আরো বেশি চায়,
কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ চাওয়ার, সীমানা কোথায়?
তাঁর চাওয়ার সীমা খুঁজে, সারা জীবন পার,
জীবনবোধের শেষ সীমায়, করে দেয় দাঁড়।
পাবে না সে শেষ ঠিকানা, জেনে বুঝেই যায়,
সব জেনেও সারা জীবন, সুখের তরী বায়।


ব্যস্ত জীবন ন্যাস্ত করে, সুখের লাগাম ধরে,
মানবতা পিষে গেলেও, সুখ চাই ঘরে।
তাজমহল গড়ে তুলতে, হয়ে যায় বেহুঁশ,
কোন পথে আসে অর্থ, হউক না তা ঘুষ।
নোনা জলেও হাত বাড়ায়, জানে না কি পাবে,
এক পা খোঁড়া হলেও, অচিনপুর যাবে।


চুল দাঁড়ি পেকে যায়, মাথা হয় ন্যাড়া,
ভরা পেট আরো ভরতে, তবু থাকে তাড়া।
সুস্থ সমাজ অস্থির করে, চাঁদাবাজি দ্বারা,
কেউ করে ঘরে বসেই, কেউ ঘর ছাড়া।
বয়স যখন ফুরিয়ে যায়, স্বপ্ন পিছু ডাকে,
গোরের পাড়ে পা রেখেও, স্বপ্নে ভোর থাকে।


নিম পাতা তিতা জেনেও, পাতায় হাত ধরে,
তিতা জেনেও স্বভাব দোষে, ডাল ভেঙ্গে ছাড়ে।
অর্থের জন্য  মদদ দেয়, যাকে ইচ্ছা তাকে,
সুখ দরিয়ায় ভোর হয়ে, তাকেই কাছে রাখে।
বিদ্যাবুদ্ধি মাথায় নিয়েও, অকাজে দেয় যোগ,
মান গেলেও বুঝ আসে না, সুখ আসলে রোগ।