প্রাণের নেতা তোমার ডাকে, তোমার ঘোষণায়,
বাংলা মায়ের দামাল ছেলে, মুক্তিযুদ্ধে যায়।
লাখো যুদ্ধা সারি বেঁধে, গর্জন তুলে দেয়,
মহান নেতার হুঙ্কার শুনে, অস্ত্র হাতে নেয়।
মায়ের দোয়া সাথে নিয়ে,গামছা মাথায় বেঁধে,
যুদ্ধে গিয়ে শামিল হয়, নিজের ইচ্ছায় সেধে।


২৬ মার্চ ঐ দিনটাকে, কেমনে যাবো ভুলে?
বীর বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে, পায়ের জুতা খুলে।
যেখানে পায় পাক হানাদার, খতম করে দেয়,
ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেও তখন, হায়নার গুলি খায়।
পাক হানাদার গুলি ছুড়ে, আমজনতা মরে,
লক্ষ লক্ষ মা বোনদের, ইজ্জত নষ্ট করে।


তোমার ডাকের আওয়াজ শুনেই, শরীর গরম হয়,
বাংলা মায়ের বীর সন্তানদের, কিভাবে তা সয়?
৭ মার্চের আদেশ তোমার, তুলে নিয়ে ঘাড়ে,
বীর বাঙালির জনরোষ, হায়নার উপর পড়ে।
দলকে দল শিকার করে, তোমার পায়ে ছুড়ে,
পাক হানাদার উড়িয়ে দিয়ে, লাশটা ফেলে দূরে।


হানাদারদের মারতে গিয়ে, অনেক প্রাণ ঝরে,
গুলাগুলি শুরু করে, কাকডাকা ঐ ভোরে।
পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়, হানাদারের তাঁবু,
মাটি ছুঁয়ে শপথ নেয়, নিপাত করে দেবো।
নেতার ডাক মাথায় নিয়ে, গুলি ছুড়ে যায়,
হায়নার দল লক্ষ্য করে, যেখানে যারে পায়।


নিজের জীবন বিপন্ন করে, বাংলা মায়ের তরে,
পরাধীনতা মুছে দিয়ে, স্বাধীন দেশ গড়ে।
শহীদ ভাইদের রক্ত ঢালা, এ মাটিতেই আছি,
স্বাধীন দেশের মায়ের কোলে, স্মৃতি নিয়ে বাঁচি।
তোমার ডাকের সেই চেতনা, রেখেছি বুকে ধরে,
যতদিন বাঁচি দেশের ইজ্জত, যাবো রক্ষা করে।