প্রলাপগুচ্ছ

কবি
প্রকাশনী সারস প্রকাশনী
প্রচ্ছদ শিল্পী মাহমুদ পারভেজ
স্বত্ব প্রকাশক
উৎসর্গ হুমায়ুন আজাদ
বিক্রয় মূল্য ১২০/-

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

প্রলাপগুচ্ছ

এই বইটি কেমন হবে অনেকের মনে কৌতুহল জেগে উঠেছে। নানান জনে নানা রকম ধারণা করছেন এই বইটি নিয়ে।

একটি ভাত টিপলে যেমন হাড়ির সব ভাতের খবর নেয়া যায়। আমিও ঠিক তার মত এই কবি'র সাথে চার বছর ধরে চলে বুঝতে পেরেছি বইটি কেমন হবে। আমার কাছে এই বইটি একটি ডিঙি নাও।
চান্দের জ্যোৎস্না বাইয়া চলছে আসমানের দিকে ডিঙি টা। এ ডিঙায় যাত্রী উঠেছে দুই জন, প্রেমিকা ও রাষ্ট্র। মাঝি হয়ে হাল ধরেছে কবি।

প্রেমিকা বলতেছে; এই বইটিতে শুধু তার কথাই বলা হয়েছে।
রাষ্ট্র বলতেছে ; নাহ! তা না। এখানে শুধু আমার কথাই বলা হয়েছে।
যাই হোক। আমি যত দূর বুঝি আমাদের দেশের গণতন্ত্রের বিয়ে হলে জনগণ দাওয়াত পায় না। কারণ, দারিদ্র্যতার জন্য উপহার দিতে পারবে না তাই।
আবার প্রেমিকার বিয়ে হলেও সাধের প্রেমিক কখনো দাওয়াত পায় না কারণ, প্রেমিকা চায় না যে তার প্রেমিক তাকে লাল শাড়ি পড়া অবস্থায় দর্শন করুক, তাই।

হ্যাঁ, এই কাব্যগ্রন্থটি "সমরেশ মজুমদারের" "কালবেলা" উপন্যাসের মাধবীলতার মত প্রেমিকা আর ঝুলন্ত রাষ্ট্রের মতও হতে পারে।

এবার বইটির নামকরণ নিয়ে কিছু বলি। প্রলাপ শব্দের অর্থ হলো 'অসংলগ্ন কথাবার্তা' বা 'অর্থহীন উক্তি'।
এমন নামকরণের কারণে আমি যতটুকু বুঝি তা হলো মানুষের জীবনের সাথে এমন কিছুই ঘটনা থাকে তা খুবই অবিশ্বাস্য । সেই অবিশ্বাস্য সত্যই তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
আপনাদের কে একটি অবিশ্বাস্য সত্য কাহিনীর গল্প শুনাই।
এই কাহিনীটা সারা পৃথিবীই কম বেশি জানে। একজন ইংলিশ লেখিকার জীবনের গল্প এটি। তিনি নারী হয়ে উঠার আগে কিশোরী বয়সে একটি নতুন বই কিনে পড়ে ছিল। তারপর তিনি যখন নারী হয়ে উঠে তখন বইটি তার নিজের দেশেই এক পুরাতন লাইব্রেরীতে বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকায় 'মদপান' ও 'ধুমপান' করেন।
কয়েক বছর পর লেখিকা অন্য দেশে ভ্রমণে যান। তার পর ঘটলো আসল ঘটনা। লেখিকা ফুটপাত ধরে হাঁটছিল শীতে কেঁপে কেঁপে। লেখিকা লক্ষ্য করলেন এক লোক ফুটপাতে কাগজ বিছায়ে দোকান দিয়েছে। দোকানের পণ্য হিসেবে আছে, এক জোড়া ফুটো মোজা, কয়েকটা পুরাতন শীতের জামা আর কিছু বই। সে বইয়ের দিকে তাকাতেই দেখতে পান তার সেই কিশোরী বেলায় পড়া বইটি। এবং বইটি হাতে নিয়ে বইয়ের পেছনের দিকে তাকাতেই আরও অবাক হয়। এতো সেই বইটিই যে বইটি পড়ে তিনি পেছনে একটি চিহ্ন এঁকে ছিল।
লেখিকা বইটি কিনে নিয়ে আবার পড়েন। আর ভাবেন বইটিও আমার মতই দেশে দেশে ভ্রমণ করছে।
এভাবে লেখিকা এই একই বইটি তিনবার ক্রয় করে তিনটি দেশ থেকে এবং তিনবার পড়ে বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকায় তিনবারই 'মদপান' ও 'ধুমপান' করেন আনন্দে।।

সম্ভাবত এমন অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনা এই বইটিতে আছে বলেই নামকরণ করা হয়েছে 'প্রলাপগুচ্ছ' ।

এই বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন ২০১৮এর অমর একুশেগ্রন্থ মেলার ৩৮৯ ও ৩৯০ নং স্টল হতে।

প্রলাপগুচ্ছ'র জন্য শুভকামনা রইলো।
এবং পাঠকদের জন্য অন্তর নিংড়ানো ভালোবাসা রইলো।

মোহাম্মদ রোজেল, সনেট কবি