হি সে ব নি কে শ


হিসেব শেষে একটা ভাঙা গল্প,
লুকোতে হলো আঁচল গিটে;
সন্ধ্যার শালিক বাতাস মেখে,
কুড়িয়ে নেয় বিষাদ ঠোঁটে।


রূপকথা রোজ বেচতে এসে,
ফেরীর ঝোলায় কান্না জমে;
উঠোনে যদিও বৃষ্টি নাচে,
শরীর ভেজে তবু রক্ত ঘামে।


ঘড়ির কাঁটা তবু তীব্র তখন,
ছেড়ে যাওয়া আজ নতুন নাকি?
নিজের মুখোশই আলগা হঠাৎ,
ভালো সাজা তখনও বাকি।


বোবা পদ্যে প্রেমিক তখন,
প্রেমিকার বাসর আবিস্কারে;
শীতল থার্মোমিটার আরো একটা,
অনাথ বাড়ায় চুপিসারে।


নোংরা পোশাক তছনছ করে,
এরাই রাতের আঁধার মেখে;
চোখের উপর চুমু এঁকে বলে,
একটা সকাল, সকাল দেখে।


যে সকালে প্রেমিক চেঁচায়,
প্রেমিকা, শুধু এ কলম জানে;
কেন তুই জেগে কবিতায়,
গিটার কেনো ভাঙে তোর গানে।


সেথায় ফেরীওয়ালা বৃষ্টি দেখুক,
খুকি এক ভেজা শার্সিতে;
শালিকের বাড়ি দু চারটে খড়,
পথিক জিরোয় আঁচলে তে।


পথের অনাথ পথ গড়ে দিক,
দশটা কফিন দাও ভেঙেচুরে;
হিসেবের অঙ্কে ভাগশেষ বাড়ুক,
কিছু গল্প জোড়া লাগুক দূরে।